—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সত্তরোর্ধ্ব এক মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে। ওই বৃদ্ধার মেয়ে সমাজমাধ্যমে ওই উড়ান সংস্থার ‘দুর্ব্যবহার’ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। আঁচল জৈন নামে ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর মায়ের হাত ভাঙা ছিল, হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয়, তা সত্ত্বেও তাঁকে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরের একটি অন্ধকার অংশ দিয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি, ওই বৃদ্ধাকে মাটিতে বসিয়ে তাঁর ব্যাগের ভিতরে কী আছে তা দেখাতে বাধ্য করেছেন ওই উড়ান সংস্থার কর্মীরা। ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে ওই উড়ান সংস্থা। তবে তাদের ‘লাগেজ পলিসি’র ব্যাখ্যাও দিয়েছে তারা।
সমাজমাধ্যমে আঁচল তাঁর মায়ের এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়ানের অভিজ্ঞতার সবিস্তার বিবরণ দিয়েছেন। ৭১ বছর বয়সি তাঁর মা কোচি থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। উড়ান নির্ধারিত সময়ের তুলনায় অনেক দেরিতে ছাড়ে (প্রায় মধ্যরাতে) কিন্তু সে সম্পর্কে তাঁর মাকে অবহিত করা হয়নি। আঁচল সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘মাকে বোর্ডিং গেটে বলা হয় তাঁর পার্স এবং লাঠি রেখে যেতে। মায়ের হাঁটতে অসুবিধা হয় জেনেও লাঠি রেখে যেতে বলা হয়। শুধু তাই নয়, মাকে হুমকি দেওয়া হয়, তিনি যদি বিমান ধরতে না পারেন, তা হলে তার জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন’।
আঁচল আরও সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখানেই হেনস্থার শেষ নয়। তিনি লিখেছেন, ‘উড়ান দেরি হওয়ায় আমার মাকে সংস্থার এক কর্মী হুইলচেয়ার থেকে নামিয়ে দেন। একটা প্রায় অন্ধকার জায়গায় তাঁর মালপত্র রাখা ছিল। সেখানে মাকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একটি নোংরা জায়গায় মেঝেতে বসিয়ে তাঁর ব্যাগপত্র খুলে ভিতরে থাকা জিনিস দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। বলে রাখা ভাল, আমার মায়ের একটি হাত ভাঙা। তা সত্ত্বেও এই ব্যবহার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় হতচকিত হয়ে মা কেঁদে ফেলেছিল’। অতিরিক্ত মালপত্রের জন্য ৮২০০ টাকা দিতে হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস আঁচলের অভিযোগ সম্পর্কে দুঃখপ্রকাশ করেছে, সেই সঙ্গে তাদের লাগেজ নীতিরও ব্যাখ্যা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে উড়ান সংস্থা বলেছে, “আপনার মায়ের অভিজ্ঞতার কথা শুনে আমরা সত্যিই দুঃখিত। প্রবীণ নাগরিকদের ভ্রমণ যাতে আরও মসৃণ করা যায়, তা নিশ্চিত করার উপরে গুরুত্ব দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy