কর্নাটকের পর কংগ্রেসের নজর এ বার ভোটমুখী চার রাজ্যে। ফাইল চিত্র।
কর্নাটক জয়ের পর কংগ্রেসের নজরে এ বার ভোটমুখী আরও ৪ রাজ্য। এই ৪ রাজ্যের মধ্যে ২টিতে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস, একটিতে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি এবং একটিতে ক্ষমতায় রয়েছে বিআরএস। চলতি বছরেই এই ৪ রাজ্য— রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যগুলিতে দলীয় সংগঠনের হালহকিকত বুঝতে প্রদেশ নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠাল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী বুধবার ৪ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই বৈঠকে বিধানসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে়ও আলোচনা হতে পারে। রাজস্থানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। তবে সে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ চিন্তায় রেখেছে কংগ্রেসকে। সম্প্রতি গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে জনসংঘর্ষ যাত্রায় নেমেছেন শচীন। মধ্যপ্রদেশেও দলের অন্দরে নানা কোন্দল রয়েছে। ২০১৮ সালে এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সংঘাতের জেরে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার পড়ে যায়। অনুগত ২২ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য। তবে কংগ্রেস শিবিরের আশা, দীর্ঘ ২ দশক ধরে ভোপালের কুর্সিতে বিজেপি থাকায়, প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট তাদের অনুকূলে আসতে পারে।
ছত্তীসগঢ়ে আপাতভাবে বড় সঙ্কট না থাকলেও ভোটপ্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না হাত শিবির। তেলঙ্গানায় চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস আর বিজেপির সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে আছে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দলও। অন্ধ্রপ্রদেশ ভাঙার পর তেলঙ্গানায় এই প্রথম ভাল ফলের আশা করছে কংগ্রেস। কংগ্রেস শিবিরের একাংশ মনে করছেন, কর্নাটকে ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে ‘মধুর’ সম্পর্ক থাকলেও, সে সব সামাল দিয়েই ভাল ফল করেছে দল। তাই কর্নাটককে সামনে রেখেই ভোটমুখী বাকি রাজ্যেও প্রস্ততিতে ঝাঁপাচ্ছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy