Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
uttarpradesh

Agnipath: অগ্নি-বিক্ষোভের পর পুলিশি নজরদারি, একের পর এক কোচিং সেন্টার বন্ধ আলিগড়ে!

অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশের নজরে একাধিক কোচিং সেন্টার। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
আলিগড় শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ১৪:০৪
Share: Save:

মোদী সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলনের নেপথ্যে কোচিং সেন্টারের (যেখানে সেনায় চাকরির জন্য তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়) ভূমিকা রয়েছে বলে সন্দেহ করেছ পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি পুলিশের আতশকাচের তলায়। এই প্রেক্ষাপটে ঝাঁপ বন্ধ আলিগড়ের একাধিক কোচিং সেন্টারের।

বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ইয়ং ইন্ডিয়া কোচিং সেন্টারের মালিক সুধীর শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলিগড় জেলায় ৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬৮ জনকে হেফজতে নেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ১১ জন কোচিং সেন্টার চালান। ধৃতদের মধ্যে অধিকাংশই টপ্পল এলাকায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান।

পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) পলাশ বনশল বলেছেন, ‘‘এলাকায় নথিভুক্ত নয়, এমন কোনও কোচিং সেন্টার রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে নজরে রাখা হয়েছে।’’ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিরোধিতায় প্রতিবাদ প্রদর্শনের পর ওই এলাকায় একাধিক কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

হরিন্দর সিংহ নামে ২৭ বছর বয়সি এক যুবক জানিয়েছেন, টপ্পল ও জত্তারির মধ্যে ১১টি কোচিং সেন্টার রয়েছে। বর্তমানে সেগুলি বন্ধ রয়েছে। টপ্পল এলাকার বাসিন্দার কথায়, ‘‘১৮ বছর বয়স থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২০২০ সালে শারীরিক পরীক্ষায় পাশ করি। তার পর থেকে প্রত্যেক বার সেনার পরীক্ষার দিন ঘোষণার সময় কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতাম। দুই মাসের প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা নিত। আর প্রত্যেক বার পরীক্ষা হত না। বিক্ষোভের জেরে এখন তো বন্ধই হয়ে গেল।’’

কয়েক দিন আগে, হিংসাত্মক আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে এক অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদারকে গ্রেফতার করে অন্ধ্র পুলিশ। আবুলা সুব্বা রাও নামের ওই ব্যক্তি বেশ কিছু কোচিং সেন্টার চালান বলে অভিযোগ। অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অবসরপ্রাপ্ত ওই হাবিলদার অশান্তি পাকানোর ‘মূলচক্রী’ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেকেন্দরাবাদ স্টেশনে খণ্ডযুদ্ধের সময় ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময়ই তাঁকে পাকড়াও করা হয় বলে জানা গিয়েছে। সুব্বা রাওয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১০০ জন সদস্যকে পুলিশের সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে। সেকেন্দরাবাদে বিক্ষোভের ঘটনায় তাঁরা জড়িত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেকেন্দরাবাদ স্টেশনে প্রতিবাদ প্রদর্শনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে উস্কানিমূলক বার্তা দিয়েছেন বলে অভিযোগ সুব্বার বিরুদ্ধে। ন’টি প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালান তিনি, এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy