সরকারি হাসপাতাল চত্বরে এক মৃত নবজাতকের মাথা খুবলে খেল কুকুর! এমনই এক ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে। কী ভাবে ওই নবজাতকের দেহ রাস্তায় পড়ে রইল? দায় কার? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়েছেন। তাঁদের দাবি, পরিবারই সদ্যোজাতের দেহ ফেলে রেখে চলে যায়।
গত রবিবার ললিতপুর মেডিক্যাল কলেজের জেলা মহিলা হাসপাতালে জন্ম হয় ওই শিশুটির। তবে জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিল সে। ওজন তুলনামূলক অনেক কম ছিল। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মীনাক্ষী সিংহ জানিয়েছেন, নবজাতকের মাথা সম্পূর্ণ রূপে বিকশিত হয়নি। সমস্যা ছিল মেরুদণ্ডেরও। জন্মের সময় তার ওজন ছিল মাত্র এক কেজি ৩০০ গ্রাম। তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। তার পরই সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নবজাতকের মাথা খুবলে খাওয়ার খবর যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে একটি কুকুরকে নবজাতকের মাথা খুবলে খেতে দেখেন কয়েক জন। তাঁরা পরে দেখেন, হাসপাতালের পাশে এক ঝোপের মধ্যে মুন্ডুহীন শিশুর দেহ পড়ে রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুটির দেহ একটি প্লাস্টিক ব্যাগে করে পরিবার ফেলে দিয়েছিল। তার দেহে একটি ‘ট্যাগ’ লাগানো ছিল। সেই ‘ট্যাগ’ দেখেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন:
তবে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। অতীতেও তদন্তের আওতায় এসেছিল ওই হাসপাতাল। তবে মঙ্গলবারের ঘটনায় তাদের আদৌ কতটা যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডি নাথ চার চিকিৎসকের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।