টানা বৃষ্টিপাতে বিধ্বস্ত কেরল। সোমবার পর্যন্ত নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণের এই রাজ্যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার জলে ধস নেমে মারা গিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। নিখোঁজ আরও অনেকে। এই পরিস্থিতিতে দু’টি বড় নদীবাঁধের লকগেট খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেরল প্রশাসন। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা থাকছে।
যে দু’টি বাঁধের জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি এশিয়ার বৃহত্তম খিলেন বাঁধ ইদ্দুকি। যা রয়েছে পেরিয়ার নদীর উপর। অন্যটি ইদামালায়ার বাঁধ। এই বাঁধটিও পেরিয়ারেরই একটি উপনদীর উপর রয়েছে।
সোমবার কেরলের জলমন্ত্রী রসি অগাস্টিন জানিয়েছিলেন, ইদ্দুকি বাঁধের জলস্তর যে কোনও মুহূর্তে বিপদসীমা পেরিয়ে যাবে। বাঁধের জলস্তর সোমবার সকাল ৭টায় ছিল বিপদসীমার মাত্র দু’ফুট নীচে। মঙ্গলবার সেই সীমা পেরিয়ে যায়। রসি বলেছেন, ‘‘বাড়তে থাকা জলস্তর বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই ইদ্দুকির দু’টি গেট ৫০ সেন্টিমিটার করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ কিউবিক মিটার করে জল বেরিয়ে যাবে।’’ এর্নাকুলামের জেলাশাসক জাফর মালিক জানিয়েছেন, ইদামালায়ার বাঁধটিরও দু’টি শাটার ৮০ সেন্টিমিটার করে খুলে দেওয়া হবে।
কেরল প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্যে। বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের মতে, রাজ্যের অধিকাংশ জেলা যেখানে প্লাবিত সেখানে বাঁধের জল ছাড়লে বিপদ আঈরও বাড়তে পারে। যদিও পিনারাই বিজয়ন সরকার জানিয়েছে মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। প্রশাসনের সতর্কবার্তা মেনে চললে সাধারণ মানুষও ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে চলতে পারবেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
শুধু কেরল নয়। সোমবার উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, দিল্লি-সহ দেশের আরও ১০টি রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় পাঁচ জন মারা গিয়েছেন। জখম হয়েছেন দু’জন। হিমাচল প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশও রবিবার রাত থেকে সোমবার সারা দিন হওয়া টানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy