আমরা প্রায় সকলেই সোনা বা রুপোর কোনও না কোনও গয়না পরে থাকি। সোনার গয়না পরতে আমরা প্রত্যেকেই পছন্দ করি। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সোনার গয়না শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পরলে বিভিন্ন প্রকার ফল পাওয়া যায়। সোনা বা রুপো শুধু যে সুন্দর দেখানোর জন্য ধারণ করতে হয় তা নয়, সব মানুষের শরীরেই সোনা বা রুপো সামান্য হলেও ধারণ করা শুভ। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, নিজের মানুষ ছাড়া সোনা কাউকে দান করতে নেই বা উপহার হিসাবে দিতে নেই।
আরও পড়ুন:
দেখে নেব সোনা কোন অঙ্গে পরলে কী প্রকার ফল দেয়:
কানে:
কানে সোনা ধারণ করার অর্থ কেতুকে প্রভাবশালী করা। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কানে যদি সোনা ধারণ করা হয়, তা হলে নাভির নীচের ভাগে রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এ ছাড়া কেতু উচ্চ থাকলে কিডনি, পায়ের রোগ এবং সন্তান নিয়ে সমস্যাও অনেকটা কেটে যায়।
গলার হার:
বিবাহিত জাতক-জাতিকারা গলায় অবশ্যই সোনার একটা হার পরুন। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম, সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং নিজেদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় না।
নাকে সোনা পরলে:
মেয়েরা নাকে সোনা পরলে তাঁদের উপর সব সময় লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে।
অনামিকায়:
আপনি কি একজন সর্বগুণসম্পন্ন সন্তানের আশা করছেন? তা হলে অনামিকায় সোনা ধারণ করে দেখতে পারেন।
কব্জিতে:
কব্জি বা মণিবন্ধে সোনা ধারণ করলে সম্মান বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া আপনি যেখানেই যাবেন, মানুষ আপনাকে প্রতিভাশালী ব্যক্তি হিসাবে সম্মান করবেন।
বাঁ হাতে সোনা:
বাঁ হাতে সোনা ধারণ করা একেবারেই উচিত নয়। না জেনে আগে থেকেই যদি পরে থাকেন তা হলে সমস্যা নেই। সোনা সব সময় ডান হাতেই পরতে হয়। এর ফলে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সোনা ডান হাতে পরলে কাজের দিক থেকেও অনেক উন্নতি হয়।
পায়ে সোনা:
পায়ে সোনা একেবারেই পরতে নেই। সোনা একটি পবিত্র ধাতু। এই ধাতু কখনওই পায়ে পরবেন না।
কোমরে:
কোমরেও সোনার গয়না পরতে নেই। এর ফলে খাবার হজম হতে সমস্যা হতে পারে।