সুনীল ছেত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতীয় ফুটবলের মহাতারকা সুনীল ছেত্রী। বছর চল্লিশের এই প্রাক্তন অধিনায়ক পায়ে বল নিয়ে মাঠে নামলে দর্শকের মনে এবং শরীরে খেলে যায় শিহরন। সুনীলের মাঠের কর্মকাণ্ড নিয়ে যেমন আলোচনা হয়, তেমনি তাঁর ফিটনেস চর্চার বিষয়। এই বয়সেও ৯০ মিনিট ধরে যে ভাবে মাঠে তুলোর মতো উড়ে বেড়ান, তা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার। সম্প্রতি সুনীল তাঁর ফিটনেসের রহস্য নিজেই খোলসা করেছেন। এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে খাওয়াদাওয়া নিয়ে কথা বলেছেন সুনীল। তবে এই প্রথম রাতের খাবার খাওয়ার পর তিনি কী করেন, সেটা জানালেন।
রোজ রাতের খাবার খাওয়া শেষ করে ২০-৩০ মিনিট আর অন্য কোনও কাজ করেন না সুনীল। ওই সময়ে তিনি বাড়ির ফাঁকা, নিরিবিলি জায়গা বেছে নিয়ে স্ট্রেচিং করেন। তবে এই অভ্যাস সুনীলের নতুন নয়। ৩৬-৩৭ বছর বয়স থেকেই নাকি সুনীল খাওয়ার পর স্ট্রেচিং করা শুরু করেছেন। এটা করে তিনি যে যথেষ্ট উপকৃত, সেটা জানিয়েছেন সুনীল।
সুনীল তাঁর ফিট থাকার চাবিকাঠি খুঁজে নিয়েছেন। স্ট্রেচিং নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এতে পেশির নমনীয়তা বাড়ে। সেই সঙ্গে শক্তিশালীও হয়। তবে খাবার খাওয়ার পর স্ট্রেচিং করলে কী কী সুফল পাবেন?
১) খাওয়ার পর জোয়ান, হজমোলা না খেয়ে যদি কিছু ক্ষণ স্ট্রেচিং করেন, তা হলে হজম খুব সহজেই হয়। পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে থাকলে দ্রুত সুস্থ হতে অ্যান্টাসিডের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী স্ট্রেচিং।
২) মনে মেঘ জমলে খাবার খাওয়ার পর স্ট্রেচ করলে উপকার পাওয়া যায়। সারা দিনের ক্লান্তি ধুয়েমুছে সাফ করে দেয় স্ট্রেচিং।
৩) রক্ত চলাচল সচল থাকে স্ট্রেচিং করলে। রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক হলে পেশির কার্যক্ষমতা বাড়ে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে অনেক সময় পেশিগুলি শক্ত হয়ে যায়। স্ট্রেচিং করলে সেই ভয় আর থাকে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy