ছবি: প্রতীকী
বিরিয়ানির ব্যাপারে যাঁরা অত্যন্ত শৌখিন, তাঁরা বাজারের ‘রেডি টু কুক’ মশলা পছন্দ করেন না। ছোট এলাচ, বড় এলাচ, শাহ জিরে, শাহ মরিচ, দারচিনি, লবঙ্গ, জায়ফল, জৈত্রি-সহ কিনে আনেন। আরও বেশ কিছু মশলার সঙ্গে থাকে গোলাপের পাপড়িও। কাশ্মীরের বিখ্যাত কাওয়াহ চা, তার মধ্যেও দেখা যায় গোলাপের পাপড়ি। আবার বিরিয়ানি-চাপ খাওয়ার পর মুখে যে মিষ্টি স্বাদ এবং গন্ধযুক্ত যে পানটি দেন, তার মধ্যে থাকে গুলকন্দ, যা আসলে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি। এ সব খাবার এবং পানীয়ে গোলাপের পাপড়ি যোগ করার কারণ অবশ্যই এই ফুলের মিষ্টি গন্ধ। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, গোলাপের মিষ্টি, সুন্দর গন্ধ ছাড়াও আরও অনেক গুণ রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। যে কারণে বিরিয়ানির মতো মশলাদার খাবারে এই ফুলের পাপড়ি যোগ করা হয়।
গোলাপের পাপড়ির আর কী কী গুণ রয়েছে?
১) শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে
পুদিনা পাতার মতো গোলাপের পাপড়িতেও এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা দেহের অতিরিক্ত উত্তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। অম্বলের কারণে গলা-বুকে জ্বালাভাব হলে তা কমাতেও সাহায্য করে গোলাপের পাপড়ি।
২) হজমে সহায়ক
গোলাপজল বা গোলাপের পাপড়ি খাবার হজমে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয় পেটফাঁপা, ক্ষুধামন্দ বা পাকস্থলীর যে কোনও সমস্যায় কাজ করে গোলাপের পাপড়ি।
৩) ত্বকের যত্নে
ত্বকে পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেকেই মুখে গোলাপজল ব্যবহার করেন। র্যাশ বা ত্বকের উপর কোনও রকম প্রদাহ কমাতে গোলাপ জল দারুণ কার্যকরী। এ ছাড়াও স্পর্শকাতর ত্বকে রোদ লাগলে ত্বক জ্বালা করে, অস্বস্তি হয়। এই ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে গোলাপ জল।
৪) মানসিক চাপ কমায়
গোলপের গন্ধে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। কাজ থেকে ফিরে জলে দু’-তিন ফোঁটা গোলাপের এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে স্নান করতে পারেন। মানসিক চাপ, অবসাদ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই গোলাপের ফুল।
৫) হরমোনের ভারসাম্য
যাঁরা ঋতুস্রাবের সময়ে পেটে যন্ত্রণায় ছটফট করেন, তাঁদের এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে গোলাপের ব্যবহারে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব থেকে মুক্তি দিতে আয়ুর্বেদে এই ফুলের ব্যবহার রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy