হৃদ্রোগের লক্ষণগুলি মহিলাদের খেয়াল রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
আধুনিক জীবনযাপন, বাইরের খাবার অত্যধিক পরিমাণে খাওয়া, মানসিক চাপ— বিভিন্ন কারণে হৃদ্রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতি বছর এ দেশে ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। পুরুষদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকলেও মহিলারা কিন্তু বিপদসীমার বাইরে নন। তবে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহিলাদের হৃদ্রোগ যখন ধরা পড়ে, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। হৃদ্রোগের লক্ষণ মহিলা এবং পুরুষভেদে বদলে যায়। সে ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই যদি লক্ষণগুলি সম্পর্কে একটু সচেতন থাকা যায় তবে মৃত্যুর মুখ থেকেও মানুষকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কোন লক্ষণগুলি দেখলে মহিলাদের সচেতন হওয়া জরুরি?
১) অত্যধিক শারীরিক দুর্বলতা হৃদ্রোগের অন্যতম লক্ষণ। পরিশ্রমের কারণে দুর্বলতা হতে পারে। কিন্তু সব সময়ে দুর্বল লাগলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে, বিশ্রাম নিয়ে এমনকি সময়ে খাওয়াদাওয়া করেও যদি দুর্বলতা কাটতে না চায়, তা হলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
২) ঘন ঘন হজমের গোলমাল হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। তবে এই সমস্যা যদি জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে, তা হলে আর ফেলে রাখা ঠিক হবে না। অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৩) সিঁড়ি বেয়ে উঠলে কিংবা ভারী কোনও কাজ করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় অনেকেরই। কিন্তু নিশ্বাস নিতে কি মাঝেমাঝেই কষ্ট হয়? নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া হৃদ্রোগের অন্যতম কারণ। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৪) সারা ক্ষণই বুকে চিনচিন, অস্বস্তি হয়? তবে এই লক্ষণ দেখা দিলে একেবারেই ফেলে রাখবেন না। বুকে অস্বস্তির কারণ যে সব সময় হৃদ্রোগ হতে হবে, তার কোনও মানে নেই। আবার হৃদ্রোগের অন্যতম লক্ষণ কিন্তু বুকে ব্যথা। তাই যে কারণেই হোক চিকিৎসকের কাছে যান।
৫) অনিদ্রার সমস্যাও হৃদ্রোগের অন্য একটি লক্ষণ। ঘুম না আসার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তবে সেই সমস্যার নেপথ্যে হৃদ্রোগ আছে কি না, তা জানতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy