ঘামের মধ্যে থাকা এই যৌগগুলি সামাজিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটাই সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
মা অফিসে চলে যাওয়ার পর সারা দিন তাঁর শাড়ি গায়ে জড়িয়ে শুয়ে থাকতেই ভালবাসে বছর পাঁচেকের ছোট্ট মিলি। আবার সদ্য বিবাহিত সৃষ্টি, কাজ থেকে ফিরে রাতে স্বামীর ব্যবহার করা পোশাক সঙ্গে নিয়েই ঘুমোতে যায়। কারণ, বিয়ের দিন কয়েক পরই সৃষ্টির স্বামী, অয়ন পাড়ি দিয়েছেন বিদেশে। দু’টি আলাদা সম্পর্ক এবং ভিন্ন ক্ষেত্র হলেও দু’পক্ষেরই দাবি, এই গন্ধে মন ভাল থাকে। কিছু ক্ষেত্রে উদ্বেগ, মানসিক চাপ সামলাতেও সাহায্য করে এই গন্ধ। শুনেই নাক সিঁটকোচ্ছেন তো? এমন বক্তব্য যে একেবারে অযৌক্তিক, এমনটা কিন্তু নয়।
হালের গবেষণা বলছে, সামাজিক উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে প্রিয়জনের বা আশপাশে থাকা অন্য মানুষের দেহের গন্ধ। সুইডেনের ক্যারোলাইনস্কা ইনস্টিটিউটের এক দল গবেষক জানিয়েছেন, ঘামের কিন্তু নিজস্ব কোনও গন্ধ হয় না। কোনও ব্যক্তির মনের বিভিন্ন পর্যায়ের উপর নির্বর করে ঘামের মধ্যে কী ধরনের যৌগ মিশবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে, ঘামের মধ্যে থাকা এই যৌগগুলির রাসায়নিক সঙ্কেতগুলি সামাজিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটাই সাহায্য করে। আমেরিকায় বসবাসকারী প্রায় দেড় কোটি মানুষই সোশ্যাল অ্যাংজ়াইটি ডিসঅর্ডার বা ‘এসএডি’-র শিকার। কোভিড অতিমারির পর এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সি, ৪৮ জন মহিলা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। গবেষকরা তাঁদের তিনটি দলে ভাগ করেন। দু’দিন ধরে তাঁদের উপর আলাদা করে এই গন্ধ-চিকিৎসা চালিয়েছিলেন। গবেষণা শেষে তাঁরা দেখেছেন, বেশি ঘাম যাঁদের হয়, সে সকল মানুষের সংস্পর্শে যে মহিলারা থেকেছেন, তাঁদের উদ্বেগ প্রায় ৩৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গবেষক এলিসা বিগনা বলেন, “ঘামের সঙ্গে যে রাসায়নিক যৌগগুলি শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে, তার মধ্যে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা যে আছে, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। কিন্তু এ নিয়ে আরও বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy