Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Vidya Balan

ভয় পেয়ে আর কত দিন বাড়িতে বসে থাকব: বিদ্যা বালন

ভার্চুয়াল মাধ্যমেই ছবির প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।নিউ নর্ম্যাল সময়ে ফের কাজ শুরু করার জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত?

বিদ্যা

বিদ্যা

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০০:১৩
Share: Save:

প্র: লকডাউনে অনেকেই অনেক কিছু শিখছে বাড়িতে বসে। আপনি নতুন কিছু শিখলেন?

উ: (হেসে) খুব বোরিং জবাব দেব কিন্তু! সত্যি বলতে, কিছুই শিখিনি প্রথম দিকে। শুরুর দিকে বেশ কয়েক বার রান্নাঘরে গিয়েছি, এটা-ওটা রান্না করেছি। তারপর আর যাইনি। বাড়িতে কুক ছিল, না হলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হত (হাসি)! সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেককেই দেখলাম অনেক কিছু করছে। কবিতা লেখা, গান করা... আমি এই সবের কিছুই করিনি! বাড়িতে কাজ করার জন্য লোক রয়েছে। আর থাকার লোক বলতে দু’জন— আমি আর সিদ্ধার্থ। দু’জনে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পেরেছি, সেটা একটা বড় প্রাপ্তি।

প্র: নিউ নর্ম্যাল সময়ে ফের কাজ শুরু করার জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত?

উ: দিনকয়েক আগে একটা প্রিন্ট মিডিয়ামের জন্য কমার্শিয়াল শুট করলাম, সব বিধিনিষেধ মেনেই। মনে মনে ভয় পাইনি। নিউ নর্ম্যাল পর্বে ওটাই ছিল আমার প্রথম কাজ। এর মধ্যে দু’-তিন দিন আমি প্রোমোশনের জন্য সিদ্ধার্থের অফিসেও গিয়েছি। ভয় পেয়ে আর কতদিন বাড়িতে বসে থাকব?

প্র: শকুন্তলা দেবী নিমেষে অঙ্কের সমাধান করে দিতেন। সেই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অঙ্ক কি আপনার কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল?

উ: বিদ্যার সামনে সব চ্যালেঞ্জ মাথা নত করে দেয় (হাসি)! জোকস অ্যাপার্ট, এই ফিল্মের শুটে সবচেয়ে কঠিন ছিল শকুন্তলা দেবীর ম্যাথস শো গুলো শুট করা। ভাগ্যিস আমার স্ক্রিপ্ট পুরোপুরি তৈরি ছিল। তবে সব কিছু প্রত্যয়ের সঙ্গে বলাটা একটা বড় টাস্ক ছিল। আর সেই জায়গায় আমার ডিরেক্টর অনু মেনন খুব সাহায্য করেছেন আমাকে। এ ব্যাপারে অনুর পড়াশোনা এতটাই বেশি যে, ‘শকুন্তলা দেবী’ ছবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে অনু অঙ্ককে ইন্টারেস্টিং করে তোলার চেষ্টা করেছে।

প্র: ছোটবেলায় আপনি অঙ্কে কেমন ছিলেন?

উ: খুব একটা খারাপ ছিলাম না। আমার সংখ্যা আর সংখ্যা নিয়ে ধাঁধা খুব ভাল লাগে। আগে রাস্তায় গাড়ির নাম্বার প্লেট দেখে মনে মনে সংখ্যা যোগ করে বলে দিতাম। সকলের টেলিফোন নম্বর মনে রাখতে পারতাম। মোবাইল ফোন আসার পর থেকে এখন তো সব কিছুই নিমেষে করে ফেলা যায়।

প্র: বিদ্যা বালনের সঙ্গে শকুন্তলা দেবীর কোনও বাস্তব মিল রয়েছে কি?

উ: আমি যদি ওঁর ১০ শতাংশ নিয়েও জন্ম নিতাম, ধন্য হয়ে যেতাম! শকুন্তলা দেবীর পরিচয় শুধুমাত্র ‘হিউম্যান কম্পিউটার’ নয়। আরও অনেক নামে উনি পরিচিত হতে পারতেন। কোনও দিন স্কুলে যাননি, অথচ পরবর্তীকালে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে বই লিখেছেন। বিশেষ করে, ওঁর একটি বই সমকামিতা নিয়ে, যে বিষয়ে সময়ের বহু আগে লিখেছিলেন উনি। এখন আর সেই বইয়ের কপি পাওয়া যায় না। আমি নিজেও খুঁজেছি, পাইনি। নিজের শর্তে জীবনযাপন করেছেন শকুন্তলা দেবী। কোনও কিছুতেই পিছু হটেননি। এখনকার বহু মানুষই ওঁর সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। এই ছবিটা তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: লকডাউনেই সাধ খেলেন শুভশ্রী! অপেক্ষা আর ক’দিনের

প্র: ছবিতে শকুন্তলা এবং ওঁর মেয়ে অনুপমার সম্পর্কের টানাপড়েন দেখানো হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে আপনার সঙ্গে আপনার মায়ের সম্পর্ক কী রকম?

উ: স্ট্রং উওম্যান বলতে যা বোঝায়, আমার মা ঠিক তাই। আমাকে একটা খুব বড় শিক্ষা দিয়েছিল ছোটবেলাতেই। সেটা হল, সব সময়ে মাথা উঁচু করে থাকবে। আমার আগে অভ্যেস ছিল, মাথা নিচু করে হাঁটা, কোনও জায়গায় মাথা নিচু করে বসে থাকা। মা আমাকে বার বার বোঝাত, এই অভ্যেস রয়ে গেলে, কোনও একদিন মাথা মাটিতে ঠেকে যাবে। মায়ের এই উপদেশ কিন্তু আমি মেনেছি এবং তাঁর ফলও পেয়েছি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন, দিনের প্রথম ফোনটা এখনও মাকেই করি। আর কোনও কিছুতে বিফল হওয়া মানেই যে সব শেষ নয়, সেটাও মা-ই শিখিয়েছে। তাই আমার জীবনদর্শন হল, নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকা। আমি বিশ্বাস করি, একটা দরজা বন্ধ হলে আর একটা খোলে। অপেক্ষা করতে হয়।

আরও পড়ুন: সুশান্ত-তদন্তে ব্যাঙ্কে হানা, পরিচারককে জেরা বিহার পুলিশের, নজর সুপ্রিম কোর্টে

অন্য বিষয়গুলি:

Vidya Balan Bollywood Movie
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy