ওমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন মিমি দত্ত। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
হেমন্তের শেষের দুপুরে সঙ্গী হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এমনই শীতল ধূসর দিনে মিমি দত্তের সমাজমাধ্যমে ভেসে উঠল চুম্বনের উদ্যাপন। স্বামী ওম সাহানির বাহুডোরে অভিনেত্রী। ঠোঁটে ঠোঁটে নেই কোনও ব্যারিকেড। এমনই সোহাগী ছবি পোস্ট করলেন মিমি। কেন শনিবারের দুপুরে হঠাৎ চুম্বনের উদ্যাপন? আজ কি তাঁদের ‘চুম্বন দিবস’? মিমি জানালেন, এই ছবি বেশ পুরনো। কিন্তু ওমের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন ঠিক এমনই আছে।
২০২১-এর ৩ ফেব্রুয়ারি মিমি ও ওম গাঁটছড়া বাঁধেন। তার আগে দীর্ঘ সময় সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। এতগুলি বছর একসঙ্গে কাটিয়ে ফেললেও সম্পর্কে মেঘ জমে থাকতে দেননি কেউই। স্বামী-স্ত্রী নয়, বরং এখনও বন্ধু বা প্রেমিক-প্রেমিকার মতোই থাকেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান মিমি। অভিনেত্রীর বলেন, “আমরা পরস্পরকে ২০১০ থেকে চিনি। বিয়ে হয়েছে চার বছর হল। কিন্তু এখনও আমরা ‘ডেটে’ যাই। ঠিক প্রেমিক-প্রেমিকাদের মতোই একসঙ্গে কফি খেতে যাই। ছবি দেখতে যাই। আমরা কেউই নিজেদের বিবাহিত দম্পতিদের মতো দেখি না।”
দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে। মানুষ হিসাবেও প্রায় বিপরীতমুখী। কিন্তু তা-ও কোথাও গিয়ে পরস্পরের সঙ্গে মিল রয়েছে। জানান মিমি। তাঁর কথায়, “ও উত্তরমুখী হলে আমি দক্ষিণমুখী। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাদের পছন্দ-অপছন্দ খুব আলাদা। কিন্তু সেই পার্থক্যগুলো আমরা সম্মান করি। বাড়িতেও আমরা কাজ ভাগাভাগি করে নিই। একসঙ্গে সময় কাটানোটা খুব জরুরি।”
সম্পর্কে প্রেম টিকিয়ে রাখতে একসঙ্গে বিশেষ দিনগুলো উদ্যাপন করা খুব জরুরি বলে মনে করেন মিমি। তার সঙ্গে প্রেম বা দাম্পত্যে চুম্বন ও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তও গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। তাই বৃষ্টির দিনে এখনও একান্তে সময় কাটাতে পছন্দ করেন তাঁরা। মিমি বলেছেন, “বৃষ্টির দিনে এখনও বারান্দায় বসে আড্ডা দিই, কফি খাই। প্রচুর কথা বলি। কাল রাতেও পুরনো ছবি দেখছিলাম একসঙ্গে বসে। তখনই এই ছবিটা খুঁজে পাই। আমরা মনে করি, ভাগ্যই আমাদের এক করেছে। আমি পছন্দ করি বর্তমানে বাঁচতে।”
আগামী ১৫ ডিসেম্বর ওমের জন্মদিন। ইতিমধ্যেই জন্মদিনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মিমি। স্ত্রীর জন্মদিনও বিশেষ করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন ওম। নিজে হাতে তৈরি করেছিলেন রেড ভেলভেট কেক। আবার মিমির হাতের রান্না খেতে পছন্দ করেন ওম। তাই নিয়ম করে স্বামীর জন্য রাঁধেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “আমরা সকলেই স্বাবলম্বী। এমন নয় যে আমি রান্না না করলে ও বানিয়ে খেতে পারবে না। ও আমাকে বলেও না রাঁধতে। কিন্তু ওঁর ভাললাগাকে সম্মান জানাতেই ওর জন্য রান্না করি। এতে পরস্পরের সঙ্গে আমরা আরও বেশি করে জড়িয়ে থাকি। আমার ঠান্ডা লেগেছে বলে আজই যেমন ও বিশেষ একটি পানীয় বানিয়ে দিল।”
সম্পর্কে মন কষাকষি হলেও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নেন মিমি-ওম। কোনও বিষয় নিয়ে তর্ক হলেও নিজেদের রোজের কাজ থামে না। অভিনেত্রীর কথায়, “আলাদা করে আমাদের ‘সরি’ বলা হয় না। কোনও সমস্যা হলেও আমি ওর জন্য রান্না করি, ও আমার জন্য কফি বানায়। এই ভাবেই সবটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। দু’দিন পরে হয়তো বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া সেরে নিই। তার পরে আর সেটা নিয়ে কথা বাড়াই না।”
সম্পর্কে ওঠাপড়া থাকেই। সবটা নিয়েই এগোতে চান ওম ও মিমি। তবে দাম্পত্যে যাতে পরস্পরের প্রতি প্রেম, ঘনিষ্ঠতা ও সম্মান বজায় থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখেন দু’জনেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy