মিমি চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
কালী পুজোর আগে ভূত চতুর্দশী। এই সন্ধ্যায় বাড়ির নানা দিকে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। তারও আগে দুপুরে বাঙালির পাতে পড়ে চোদ্দ শাক। অশুভ শক্তি বিনাশের কারণেই এ দিন চোদ্দ শাক খাওয়া হয়। আসলে ঋতু পরিবর্তনের সময় শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধে। মনে করা হয়, এই চোদ্দ শাকে রয়েছে এ সব অসুখের প্রতিকার। এই বিশল্যকরণীর খোঁজ নিজের বাড়িতেই পেলেন মিমি চক্রবর্তী।
নিজের বাড়ির বাগানেই তৈরি হয়েছে পালং শাক। সমাজমাধ্যমের পোস্টে মিমি বলেন, “এই হল আমার বাড়ির বাগানের পালং শাক। আজ চোদ্দ শাক খেতে হয়। হয়তো চোদ্দ রকমের শাক নেই। কিন্তু যা যা রয়েছে এখানে, তা-ই যথেষ্ট। এটাই আমার ‘হেঁসেল বাগান’। ছোট্ট জায়গা ঠিকই, তবে এর চেয়ে বড় সুখ আর কিছুতে নেই।” পোস্টের ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, “নিজের লাগানো চোদ্দ শাক নিয়ে মাতামাতি।”
দীপাবলি ও কালী পুজোয় শব্দবাজি নিয়েও একটি পোস্ট করেছেন মিমি। কাজের বাইরে অভিনেত্রীর সময় কাটে তাঁর পোষ্য সন্তানদের নিয়ে। তাই বরাবরই শব্দবাজির বিরোধিতা করে এসেছেন অভিনেত্রী। নিজের পোস্টে লিখেছেন, এ বছর পরিবেশের কথা ভাবছেন তিনি। পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার বার্তা দিয়েছেন। পশুদের জন্য শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি মিমি লিখেছেন, “সকলকে অনুরোধ করব, পারলে পাখিদের জন্য এক বাটি করে জল রাখবেন বাইরে।”
দীপাবলির সময় শব্দবাজিতে অতিষ্ঠ হয় পথকুকুর ও বি়ড়ালদের প্রাণ। অনেক সময় কুকুরের লেজে বাজি বেঁধে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাই মিমির অনুরোধ, “আপনি কুকুর পছন্দ না-ই করতে পারেন। কিন্তু দয়া করে ওদের আঘাত করবেন না।”
নিজের পোস্টেই মিমি মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানোতেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আলোর বাজি রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত পোড়ানোর অনুমতি রয়েছে কলকাতা শহরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy