সারা বছর দম ফেলার ফুরসত নেই। বছরের এই একটা দিন কিন্ততু কোনও কাজ নয়! ভাইফোঁটা মিস করতে চান না ছোট পর্দার তারকারাও। এই একটা দিনের জন্য হা-পিত্যেস অপেক্ষা তাঁদেরও। সকাল সকাল বিছানা ছেড়ে, স্নান সেরে ভাইকে ফোঁটা দেওয়া বা দিদি-বোনের হাত থেকে ফোঁটা নেওয়ার জন্য। আনন্দবাজার ডিজিটালে ছোট পর্দার বড় তারকাদের ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার কিছু মুহূর্ত---
ভাইফোঁটার দিন সকাল থেকেই খুশিতে টইটুম্বুর তৃণা সাহা। পরনে হাল্কা চকোলেট রঙা সালোয়ার-কামিজ। মানানসই জাঙ্ক জুয়েলারি। রকমারি মিষ্টি প্লেটে সাজিয়ে ধরেছেন ভাইদের সামনে। মন্ত্র পড়ে চন্দনের ফোঁটা কেটেছেন সবার কপালে দীর্ঘায়ু চেয়ে। জানিয়েছেন, ‘‘ছোট থেকে দেখে এসেছি এই দিন ভাইদের জন্য স্পেশাল মিষ্টি আসত বাড়িতে। বড় হয়ে সেই রীতি বজায় রেখেছি আমিও।’’
এ বছরের ভাইফোঁটা ভীষণ স্পেশাল স্বস্তিকা দত্তের কাছে। কেন? আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘‘এ বছর এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি দারুণ এক্সাইটেড। কেন? এ বছর ডবল ভাইফোঁটা আমার। আর সাত বছর পরে আমি আবার ভাইফোঁটা দেব। আমার ভাই নেই। দাদুকেই তাই ছোট থেকে ফোঁটা দিতাম। সাত বছর আগে দাদু চোখ বুজতে ওঁর জায়গায় কাউকে বসাতে পারিনি। তাই এতগুলো বছর দাদুর ছবিতেই ফোঁটা দিয়েছি। এ বছর দাদুর সঙ্গে ডিজাইনার অভিষেক রায়কেও ভাইফোঁটা দেব।’’
সেই মতোই স্বস্তিকাকে ফোঁটা দিতে দেখা গিয়েছে অভিষেক রায়কে। রকমারি মিষ্টিতে সাজানো থালা, ফোঁটার সমস্ত উপকরণ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘ডিজাইনার দাদা’র স্টুডিয়োয়।