মধ্যমণি ‘দাদা’
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এক সময় নাচের নাম শুনলেই পালাতেন। এখন তিনিই অনায়াসে পা মেলাচ্ছেন সলমন খানের কেতায়! এক পাশে দিতিপ্রিয়া রায়। অন্য পাশে চিত্রাঙ্গদা। মধ্যমণি ‘দাদা’। এ ভাবেই ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে ‘সোয়্যাগ’ করে সবাইকে স্বাগত জানালেন বিসিসিআই সভাপতি। সেই দুর্লভ মুহূর্ত মোবাইল-বন্দি করেছেন আর এক অভিনেতা-প্রতিযোগী অর্জুন চক্রবর্তী। মঞ্চে ছোট পর্দার ‘রানিমা’ থাকবেন আর দুষ্টুমি হবে না, তা কি হয়? দিতিপ্রিয়া নিজের দুষ্টুমির কথা তো স্বীকার করলেনই। কথায় কথায় ‘দাদা’র মুখ থেকেও জেনে নিলেন, ছেলেবেলায় ‘বাংলার মহারাজ’ কী ধরনের দুষ্টুমিতে নাজেহাল করতেন বাড়ির সবাইকে।
আড্ডার ছলেই সৌরভ তার আগে জেনে নিয়েছেন, দিতিপ্রিয়া এক মাত্র শায়েস্তা তাঁর মায়ের কাছে। সেটে দুরন্ত হলেও বাড়িতে কিন্তু তটস্থ থাকেন মায়ের ভয়ে! অভিনেত্রী জানান, এখনও দু’মাস অন্তর মায়ের হাতে মার খান তিনি! নিজের গল্প ফাঁস হতেই নড়ে বসেছেন সঙ্গে সঙ্গে। ঘুরিয়ে প্রশ্ন করেছেন ‘দাদা’কে, ‘‘ছোটবেলায় তোমাকেও কি তোমার মা এ ভাবেই ঠান্ডা রাখতেন?’’ সৌরভের অকপট স্বীকারোক্তি, তখন কেন, এখনও তাঁর মা তাঁকে দরকারে ‘ঠান্ডা’ রাখেন! তবে এখন আর দিতিপ্রিয়ার মতো তাঁকে মার খেতে হয় না।
ছেলেবেলায় কতটা দুষ্টু ছিলেন ‘দাদাগিরি’র সঞ্চালক? ‘মহারাজ’-এর বাড়ির লাগোয়া ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি। তখনও ডোনার প্রতি তাঁর দুর্বলতা তৈরি হয়নি। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক খুবই ছোট। সেই সময় এক বার তিনি আর তাঁর দাদা মিলে খেলনা বন্দুকের গুলিতে পড়শির ডোনাদের বাড়ির সমস্ত কাচ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন! সে দিন সন্ধেয় তাঁদের মানালি বেড়াতে যাওয়ার কথা। গাড়িতে বসে সবার সঙ্গে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। তখনই প্রতিবেশী তাঁর বাবা চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায়কে ডেকে ছেলেদের কাণ্ড-কারখানার কথা জানান। তার পরের ১৫ মিনিট? সৌরভের কথায়, সেটি তাঁর জীবনে ইতিহাস!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy