গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
বিরক্ত সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। কিছু দিন আগে পর্যন্ত তিনি লিলুয়ারই পাকাপাকি বাসিন্দা ছিলেন। নিজের এলাকার অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারলেন না। তাঁর প্রিয় লিলুয়া ভরে উঠেছে আবর্জনায়। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুললেন গায়িকা। বললেন, “আমি এখন থাকি কলকাতায়। কিন্তু আমার বাবা থাকেন লিলুয়াতে। তাই সপ্তাহে তিন-চার বার এখানে আসাই হয়। আগেও এমনটা দেখেছি। বলেছি। কাজ হয়নি। বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় খুবই ভাল মানুষ। ওঁকে এই সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু সে ভাবে কিছু হয়নি। তাই আমি মদন মিত্রর সঙ্গেও কথা বলেছি।”
ডেঙ্গি নিয়ে এমনিতেই চিন্তা বাড়ছে রাজ্য জুড়ে। এ সময়ে প্রশাসনের বিশেষ তদারকিতে এ সব জায়গার আবর্জনা সাফ হওয়া দরকার। বহু জায়গায় পুরসভার উদ্যোগে আবর্জনা পরিষ্কার করে চারদিকে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোও হচ্ছে। নোংরা, জমা জল থাকলে ডেঙ্গি বাড়বে, তাই সতর্কতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে সর্বত্র। সেখানে এমন পরিস্থিতি লিলুয়ার?
ক্ষুব্ধ গায়িকা পোস্ট করেছেন বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়োও । ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চারদিক আবর্জনায় ভর্তি। গোটা এলাকার জঞ্জাল যেন জমা হয়েছে এই একটা জায়গায়। গায়িকার অভিযোগ, স্থানীয় পুরসভায় অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও কাজ হয়নি। সামনে পুকুরও ভরে গিয়েছে আবর্জনায়। সেই পুকুরে আর জল নেই, শুধুই নোংরার স্তূপ। তার পরে ফেসবুকে গায়িকা লেখেন, “আমার লিলুয়ার বাড়ির সামনের অটোস্ট্যান্ডটা পুরো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ১০০ বার বলেও ঠিক হচ্ছে না। সত্যিই লজ্জাজনক। যাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরা পালন করছেন না। ছবি এবং ভিডিয়ো দিলাম। বালি পুরসভার লজ্জা আসুক। যাঁরা যাঁরা এখানে ময়লা ফেলে চলেছেন, তাঁদেরও লজ্জা হোক।”
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় বিধায়ক রানার সঙ্গে। তিনি বললেন, “প্রথমত ইমন আমার বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা নন। তিনি থাকেন ডোমজুড় বিধানসভায়। কিন্তু তাও যদিও কোনও সমস্যা হয়, ওঁর সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তিনি আমাকে ছবি এবং জায়গার জিপিএস পাঠিয়ে দিন। অবশ্যই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy