সলমন বাড়ির গুলিকাণ্ডে নয়া মোড়। গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ।
গত মঙ্গলবার পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যা করেন অনুজ থাপন। তবে এখানেই শেষ নয়। সলমনের বাড়ির বাইরে যে হামলা চলে তাতে যুক্ত ছিলেন অনেকেই। এ বার রাজস্থান থেকে ধরা পড়লেন মহম্মদ চৌধরি। তিনি বন্দুকবাজদের অর্থের জোগান দিয়েছিলেন এমনকি, রেকি করার দিনও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। রাজস্থান থেকে ধরা হয় এই মহম্মদকে। মঙ্গলবারই মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। খুব শীঘ্রই আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
গত ১৪ এপ্রিল সলমন খানের ব্যান্দ্রার ফ্ল্যাটে গুলি চালান বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যেরা। অভিনেতার বাড়ির দেওয়ালে দু’টি গুলি চালান তাঁরা। ফুটো হয়ে যায় অভিনেতার ফ্ল্যাটের দেওয়াল। গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসে মহারাষ্ট্র সরকার-সহ মুম্বই পুলিশ। কোনও রকমের বিলম্ব না করেই তড়িঘড়ি শুরু হয় তদন্ত। ঘটনার দু’দিনের মাথায় দুই বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর ধরা পড়েন সেই দু’জন, যাঁরা বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেন। তাঁরা অনুজ থাপন ও সোনু বিষ্ণোই।বন্দুকবাজদের বয়ান অনুযায়ী, সলমনের বাড়িতে তাঁরা ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন। তার পরে সুরাতের তাপ্তী নদীতে বন্দুক ফেলে দেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই নদী থেকে একটি বন্দুক ও কিছু কার্তুজ উদ্ধার করেছে মুম্বই অপরাধ দমন শাখা।
গুলিকাণ্ডের পর থেকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছেন সলমন। সারা ক্ষণই ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন তিনি। উদ্বেগে সলমনের পরিবার-সহ তাঁর অনুরাগীরাও। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে নিজের বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy