পরমব্রতর নতুন ছবি
সাল ১৯০৮। বাংলা অগ্নিগর্ভ বারুদ-বোমার গন্ধে। ইংরেজদের দেশ থেকে তাড়াতে তৎপর বাংলার বিপ্লবীরা। মুজফ্ফরপুরে অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন করতে চেয়েছিলেন ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকীরা। সামান্য ভুলে ধরা পড়ে যান তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ধরা পড়েন ৩৮ জন বিপ্লবী। ছিলেন ঋষি অরবিন্দ, বারীন ঘোষও।
সাল ২০২২। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করতে চলেছেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্রযোজক রানা সরকার। তাঁদের আগামী ছবি ‘বারুদ ও আদালত’। দু’জনেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, আলিপুর বোমা মামলা তাঁদের পরের ছবির বিষয়।
তাঁর ঝুলিতে ফুটবল নিয়ে তৈরি ছবি ‘তিকিতাকা’ রয়েছে। আছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনীনির্ভর ছবি ‘অভিযান’। রাজনীতি বা দেশপ্রেমের কোনও ছবি নেই পরিচালকের ঝুলিতে। পরমব্রতের কথায়, ‘‘অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম, আমার একটি ছবিতেও পরাধীন ভারত নেই। অথচ, সেই সময়ের রাজনীতি এবং দেশপ্রেম বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বলতে পারেন, আমার আগামী ছবি সেই দিক তুলে ধরতে চলেছে।’’
গত দেড় মাস ধরে পরমব্রতের এই ভাবনার রূপকার সৌরভ চক্রবর্তী এবং শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। গবেষণার পর তাকে শিবাশিস প্রাথমিক চিত্রনাট্যে রূপ দিচ্ছেন। বড়পর্দা একসঙ্গে পেতে চলেছে ঋষি অরবিন্দ এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে।
এই দুই ভূমিকায় অভিনয় করবেন কারা? বলিউডে এই ধরনের পিরিয়ড ড্রামার সংখ্যা প্রচুর। পরমব্রত কি মুম্বইয়ের সহযোগিতা নেবেন? পরিচালকের যুক্তি, বাঙালির অনুভূতি জড়িয়ে এই দুই মহামানবের সঙ্গে। তাই অবাঙালি অভিনেতা বাছার কোনও প্রশ্নই নেই। তবে অ্যাকশন বা সিনেমাটোগ্রাফিতে হয়তো তিনি মায়া নগরীর সহযোগিতা নিতেও পারেন।
যদিও সবটাই একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। শ্যুটিং হবে কলকাতা এবং পড়শি রাজ্যে। পরিচালকের দাবি, এই একটিই নয়। এই ধরনের আরও কয়েকটি ছবি বানানোর খুব ইচ্ছে তাঁর। ‘আলিপুর বোমা মামলা’ তারই প্রথম ধাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy