Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Trina Saha

‘যেখানে ভূতের ভয়, সেখানে রোম্যান্স হয়’, সৌজন্য-গুনগুনের কাছে আসার দৃশ্যে উচ্ছ্বসিত নেটপাড়া

গুনগুন’ তৃণা সাহার কাছেও পৌঁছেছে উচ্ছ্বাসের আঁচ।  কয়েক মিনিটের এই দৃশ্য যে মানুষকে এত ছুঁয়ে যাবে, তা ভাবতে পারেননি অভিনেত্রী।

কাছাকাছি সৌজন্য-গুনগুন।

কাছাকাছি সৌজন্য-গুনগুন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:১৩
Share: Save:

মুখোপাধ্যায় বাড়ির সাহেব ভূতের ভয়ে অবশেষে কাছাকাছি এল সৌজন্য এবং গুনগুন। বিয়ের পর থেকে ‘ক্রেজি’র হাত জড়িয়ে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত গুনগুন। কিন্তু এ বার ভয়ে-আতঙ্কে সৌজন্যের বুকে মাথা রেখে ঘুমানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকল না তার। এর সঙ্গেই দর্শকদের ‘সৌগুন’-এর ‘আলিগা’ দেখার স্বাদও পূর্ণ হল এত দিনে!

সৌজন্য-গুনগুনের ভালবাসা দেখে আপ্লুত ‘খড়কুটো’প্রেমীরা। কেউ লিখছেন, ‘যেখানে ভূতের ভয়, সেখানে রোম্যান্স হয়’। আবার একজন লিখেছেন, ‘সৌজন্য গুনগুনের বহু প্রতীক্ষিত আলিগা অবশেষে দেখতে পেলাম।’ এ ভাবেই ‘সৌগুন’-এর আবেগে ভেসে যাচ্ছেন নেটাগরিকদের একাংশ। ধীর আঁচে তৈরি হতে থাকা প্রেমের সৌরভে ম-ম করছে নেটপাড়া।

‘গুনগুন’ তৃণা সাহার কাছেও পৌঁছেছে উচ্ছ্বাসের আঁচ। কয়েক মিনিটের এই দৃশ্য যে মানুষকে এত ছুঁয়ে যাবে, তা ভাবতে পারেননি অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “আমরা ভাবতেই পারিনি, এই একটা সিন মানুষের এত ভাল লাগবে। আলিগার কথাটা সেই সৌজন্য গুনগুনের বিয়ের সময় হয়েছিল। সেটা তাঁরা এখনও মনে রেখেছেন। এতদিন পরেও সেটা নিয়ে কথাবার্তা বলছেন, চর্চা করছেন। এটা আমাদের কাছে বড় পাওয়া।”

‘সৌগুন’-এর আবেগে ভেসে যাচ্ছেন নেটাগরিকদের একাংশ। 

‘সৌগুন’-এর আবেগে ভেসে যাচ্ছেন নেটাগরিকদের একাংশ। 

মান-অভিমানের পালা শেষে প্রেমের রোদ উঁকি দিচ্ছে সৌজন্য-গুনগুনের আকাশে। বোলপুরে হানিমুনে গিয়েও যা ঘটল না, তা ঘটে গেল সাদামাটা একটা রাতে। সৌজন্যের প্রতি নিজের ভালবাসা স্বীকার করে নিল গুনগুন। বলেই দিল, ‘ক্রেজি’কে অনেকটা ভালবাসে সে। তাকে ছেড়ে তাই সৌজন্য যাতে কোত্থাও না যায়।

কিন্তু এমনি এমনি কি আর এই কথা বার করা যায় গুনগুনের পেট থেকে! তার জন্য রীতিমত ভূতের গল্প ফাঁদতে হয়েছে বিজ্ঞানী মশাইকে। গুনগুনের থেকে দূরে গিয়ে যাতে আলাদা ঘরে না শুতে হয়, তাই আস্ত এক সাহেব ভূতের অবতারণা করে ফেলেছে সৌজন্য। সে নাকি রাত হলেই সারা বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। যে কোনও সময় দেখা দিতে পারে গুনগুনকেও! এ সব কথা শুনে সৌজন্যকে জড়িয়ে প্রায় কেঁদেই ফেলে গুনগুন। জানিয়ে দেয়, শুধু হাত জড়িয়ে ঘুম আসবে না তার। তাই সৌজন্যের পুরো বুকটাই দখল করে শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে সে। সৌজন্যও পরম স্নেহে আলিঙ্গনে বেঁধে রাখে গুনগুনকে। আশ্বাস দেয় পাশে থাকার।

তবে শুধু প্রেম-ভালবাসা-আলিগাতেই ভেসে যায়নি ‘সৌগুন’। চিরাচরিত খুনসুটিতেও মজেছিল দু’জন। সৌজন্য বউকে ‘পেত্নী’ উপাধি দিলে, সেও তাকে ‘ব্রহ্মদৈত্য’-র শিরোপা দেয়। যদিও পেত্নীটি যে বেশ লক্ষ্মীমন্ত, সে কথাও মেনে নিয়েছে মুখোপাধ্যায় পরিবারের প্রতি গুনগুনের ভালবাসায় মুগ্ধ সৌজন্য।

অন্য বিষয়গুলি:

Koushik Roy Trina Saha Khorkuto
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy