নানা পটেকর। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম অভিজ্ঞ ও দক্ষ অভিনেতা নানা পাটেকর। কৃতী অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও নিজের স্বভাবের জন্য বার বার বিতর্কে জড়ান ‘ওয়েলকাম’ খ্যাত অভিনেতা। বছর পাঁচেক আগে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন বাঙালি বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। সম্প্রতি বারাণসীতে শুটিং করতে গিয়ে এক অনুরাগীকেই থাপ্পড় মেরে বসেন নানা। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে দর্শক ও অনুরাগীদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কথায় কথায় তাঁর নাকি রাগ হয়।
কিন্তু কেন এমন হয়! হয়তো জীবনের অনেক ক্লেদ জমে রয়েছে। নিজের জীবনে বহু খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন অভিনেতা। মাত্র দু’বছরের পুত্র সন্তানকে হারিয়েছেন। তার পরই ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। একটা সময় ছিল যখন দিনে অন্তত ৬০টা সিগারেট প্রয়োজন হত অভিনেতার। নিজেই জানিয়েছেন সে সব কথা।
নানা এক সাক্ষাৎকারে নিজেই নিজেকে ‘কুৎসিত মানুষ’ বলে বাখ্যা করেছেন। অভিনেতা জানান, তাঁর প্রথম সন্তান ছিল বিশেষ ভাবে সক্ষম। মাত্র দু’বছর বয়সেই সে মারা যায়। অথচ, সেই শিশুর প্রতিও প্রথমে তাঁর কোনও ভালবাসা তৈরি হয়নি। প্রথম বার যখন সেই সন্তানের মুখ দেখেছিলেন নানা, তাঁর মনে হয়েছিল ‘এ কেমন দেখতে! লোকে কী বলবে আমাকে!’
নানা বলেন, “ভাবুন কতটা খারাপ বাবা ও কুৎসিত মানুষ আমি! নিজের সন্তানকে দেখে, তার স্বাস্থ্য নিয়ে বিচলতি না হয়ে আমি ভেবেছি, লোকে কী বলবে!” সেই ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই ধূমপান শুরু করেন নানা। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলের মৃত্যুর পর আমার কষ্টটা একদিনের জন্য কাউকে বুঝতে দিইনি। কাঁদিনি এক ফোঁটা। ওই কষ্টটা থেকে বেরানোর চেষ্টা করেছি। আর এ জন্যই দিনে ৬০ টা সিগারেট প্রয়োজন হত। আমার গাড়িতেও কেউ বসত না এত গন্ধ। স্নান করতে করতেও যেন ধূমপান করলে ভাল হয় অবস্থা এমন।’’ তবে এখন সব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। অতীতের সব খারাপ অভ্যাসই ত্যাগ করেছেন তিনি, দাবি নানার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy