Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Shah Rukh Khan

Munmun Dhamecha: প্রমোদতরীর পার্টিতে টাকা দিয়ে ডাকা হয় মুনমুন ধমেচাকে, দাবি মডেলের আইনজীবীর

মধ্যপ্রদেশের ছোট শহরের মডেল মুনমুন ধমেচার ব্যক্তিগত জীবন। কী ভাবে পৌঁছলেন মুম্বইয়ে? মুখ খুললেন আইনজীবী আলি কাসিব খান।

স্যানিটারি ন্যাপকিনে মাদক লুকিয়েছিলেন মুনমুন- এমনই দাবি করেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

স্যানিটারি ন্যাপকিনে মাদক লুকিয়েছিলেন মুনমুন- এমনই দাবি করেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৫০
Share: Save:

আরিয়ান খান এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্টের সঙ্গে এনসিবি হেফাজতে দিন কাটছে মডেল মুনমুন ধমেচার। স্যানিটারি ন্যাপকিনে মাদক লুকিয়েছিলেন তিনি— নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) এমন দাবিতে তোলপাড় গোটা দেশ। কিন্তু কী করে প্রমোদতরীর পার্টিতে পৌঁছলেন তিনি? সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন তাঁর আইনজীবী আলি কাসিব খান।

আলির দাবি, আরিয়ান-আরবাজের মতো মুনমুনও গোয়াগামী প্রমোদতরীতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁর টিকিটও ছিল না। তদন্তে জানা গিয়েছে, বলরাম নামে এক ব্যক্তি মুনমুনের টিকিট কেটেছিলেন। তাঁর নামে ঘরও ভাড়া নিয়েছিলেন। আইনজীবীর কথায়, ‘‘মুনমুন পেশায় মডেল। পার্টি নজরকাড়া করে তুলতেই তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে তাঁকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলা হয়েছিল।’’

৩৯ বছর বয়সি মুনমুনের আদি বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সাগর নামে এক ছোট শহরে। ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে। মুনমুনের মা প্রয়াত হয়েছেন গত বছর। বাবা আলাদা থাকেন। আপাতত দিল্লিতে কর্মরত দাদার সঙ্গেই থাকেন মুনমুন। যদিও মুম্বইয়ের একাধিক বড় বড় তারকার সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে এই মডেল কন্যার। কিন্তু আইনজীবীর দাবি, কাজের ডাক পেলে তবেই তিনি মুম্বইয়ে যেতেন। পার্টিতে যাওয়ার আগে আরিয়ান বা আরবাজ কারও সঙ্গেই আলাপ ছিল না মুনমুনের।

আলি খানের প্রশ্ন- মাদক পাওয়ার সময়ে মুনমুনের সঙ্গেই ছিলেন আরও দুজন। তা হলে এনসিবি শুধু মুনমুনকেই ধরল কেন?

আলি খানের প্রশ্ন- মাদক পাওয়ার সময়ে মুনমুনের সঙ্গেই ছিলেন আরও দুজন। তা হলে এনসিবি শুধু মুনমুনকেই ধরল কেন?

আলি খান বললেন, ‘‘বড় পার্টিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে মুনমুন খুব খুশি ছিলেন। সেখানে পৌঁছে দাদাকে ভিডিয়ো কল করে সে কথা জানিয়েওছিলেন মুনমুন। বোঝাই যাচ্ছে, পরিবারের কাছ থেকে লুকিয়ে কিছু করেননি তিনি।’’

মুনমুনের সঙ্গে কথা বলে আলি যা যা ‘তথ্য’ জানতে পেরেছেন সেগুলি সাক্ষাৎকারে বললেন। প্রমোদতরীর বাইরে লেখা ছিল, ‘মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ’। মুনমুন যখন প্রমোদতরীতে উঠছিলেন, তাঁদের তল্লাশি হয়েছে। তখন কিছু পাওয়া যায়নি তাঁর কাছে। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বলরাম এবং আরও একটি মেয়ের সঙ্গে নিজের নামে ভাড়া নেওয়া ঘরে ঢোকেন মুনমুন। দু’তিন মিনিটের মধ্যেই এনসিবি সেখানে ঢুকে পড়ে। মুনমুন তাঁর আইনজীবীকে জানিয়েছেন, ঘরের মেঝেতে মাদকের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিল।

আলি খানের প্রশ্ন, মুনমুনের ঘরে মাদক পাওয়ার সময়ে তাঁর সঙ্গেই ছিলেন বলরাম ও অন্য তরুণী। তা হলে এনসিবি শুধু মুনমুনকেই ধরল কেন? ঘরে পড়ে থাকা মাদকের প্যাকেট তো তাঁদেরও হতে পারে। কিন্তু শুধু মুনমুনকে জেরা করার জন্য আটক করা হয়। ‘‘মুনমুন আমাকে কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেবল আমি-ই কেন?’’ বললেন আইনজীবী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy