মাইকেল জ্যাকসন প্রয়াত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তিন সন্তান তাঁর। একমাত্র কন্যা প্যারিস জ্যাকসন। এ বার প্রচারের আলোয় তিনি। একটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোয়ে তিনি হাজির হলেন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ পোশাকে । কালো পোশাকে অসংখ্য ছিদ্র এবং সবটাই স্বচ্ছ। প্যারিসের পরনে ছিল না অন্তর্বাস। তাতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্যারিসের স্তনবৃন্ত। সমালোচিত প্যারিস। এ বার মুখ খুললেন তারকা-কন্যা। দিলেন নিজের যুক্তি।
আরও পড়ুন:
প্যারিস আসলে মানবশরীরকে কেবলই শরীর হিসেবে দেখেন। যেমন আশেপাশে পশুরা নগ্ন শরীরে ঘুরে বেরায় তেমনই মানুষের শরীরকেও পোশাকে বেঁধে রাখতে নারাজ। প্রশ্ন তুলেছেন কেন মানবশরীরকেই সর্বদা এমন অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। প্যারিসের কথায়, “আমি শুনেছি আমার পোশাক নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। প্রথমত নানা মুনির নানা মত থাকবেই। লোকে তাঁদের মত দেবেন। পশুদের মতো মানুষেরও শরীর, এটাকে এত বড় করে দেখার কিছু নেই। এর শুধুই স্তনবৃন্তই তো দেখা গিয়েছে। এটার থেকেও বড় কাজ আছে এই পৃথিবীতে।”

প্যারিস জ্যাকসনের যে পোশাক নিয়ে সমালোচনা। ছবি: সংগৃহীত।
মাইকেল-কন্যা আসলে মানব বিবর্তন এবং পোশাক সম্পর্কে একটি বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। তিনি পরামর্শ দেন যে প্রকৃতি থেকে সমাজের বিচ্ছিন্নতাই মানবজীবনে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। এমনিতেই পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলিতে ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে ‘নিপ্ল ফ্রি মুভমেন্ট’। সমাজের খ্যাতনামী মহিলরা সমর্থন করেছেন এই পদক্ষেপকে। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে খ্যাতনামী মডেল বেলা হাদিদও স্বচ্ছ পোশাকে হাজির হন। সেই সময় লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মডেল কিন্তু অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছিলেন বেলাকে। আবার প্রায় অনাবৃত শরীরে গ্র্যামি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাজির হন কাইনে ওয়স্টের স্ত্রী সেই নিয়ে সমালোচিত হন তিনি। এ বার প্যারিসও সেই পদক্ষেপ করতেই কটাক্ষের শিকার হন মাইকেল-কন্যা।