কোয়েল। ছবি: দেবর্ষি সরকার
পুজোর সঙ্গে মিতিনমাসির একটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। পূজাবার্ষিকীতে প্রকাশিত সুচিত্রা ভট্টাচার্যের মিতিনমাসির আকর্ষণ এড়ানো কঠিন হতো। লেখিকার মৃত্যুর পরে সেই জায়গাটা ফাঁকা পড়ে ছিল। বইয়ের পাতায় না হলেও পুজোর সময়ে পর্দায় আসতে চলেছে ‘মিতিন মাসি’। নাম ভূমিকায় কোয়েল মল্লিক। পরিচালক অরিন্দম শীল।
শবর দাশগুপ্ত এবং ব্যোমকেশ বক্সীর পরে মিতিনমাসির চরিত্র নির্মাণ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? ‘‘কোয়েলের লুকের উপরে খুব জোর দিয়েছিলাম। ছবিতে ওর তিনটে লুক। আর কোয়েল সিরিয়াসলি নিজেকে তৈরি করছে,’’ বললেন অরিন্দম। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠকের কাছে নির্মাতারা প্রশ্ন রেখেছিলেন, কেমন ভাবে মিতিনমাসিকে তাঁরা দেখতে চান। পাঠকের পরামর্শ অনুসারেই কোয়েলের লুক সেট হয়েছে বলে জানালেন পরিচালক।
কোয়েল নিজেও এক্সাইটেড চরিত্রটি নিয়ে, ‘‘মিতিনমাসির ক্যারেকটার স্কেচটা তো অপূর্ব! অসম্ভব বুদ্ধিদীপ্ত এক মহিলা। সে রান্নাঘরে যতটা দক্ষ, কেস সলভ করার সময়েও ততটাই তুখড়। আর ইনটিউশন ভীষণ স্ট্রং।’’ ছবিতে কোয়েলকে অ্যাকশন সিকোয়েন্সও করতে হবে। অভিনেত্রী সেই মতো নিজের ফিটনেসে নজর দিচ্ছেন।
শুভ্রজিৎ ও রিয়া
‘হাতে মাত্র তিনটে দিন’ কাহিনিটি নিয়ে এই সিরিজ়ের প্রথম ছবি। মূল লেখা খুব একটা বদল করা হয়নি। মিতিনের বোনঝি টুপুরের চরিত্রে রিয়া বণিক। যে কলেজ ছাত্রী। মিতিনের স্বামীর চরিত্রে শুভ্রজিৎ দত্ত।
গল্প অনুসারে মিতিনের চরিত্রটা একটু বয়স্ক। কোয়েলের কথায়, ‘‘সেই জন্য তো আমি আরও বেশি এক্সাইটেড! আমার দশ বছর বয়সেই বাড়িতে পিসি হয়ে গিয়েছিলাম। এখন তো দু’-একজনের ঠাকুমাও হয়ে গিয়েছি (খুব হেসে)!’’ মিতিনের গল্পটা অভিনেত্রীর কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। তাঁর মতে, ‘‘চরিত্রটা নারী ক্ষমতায়নের উদাহরণ। তাই মিতিনমাসি আমার কাছে সেই উইশ ফুলফিলমেন্টেরও গল্প।’’ ছবির শুটিং শুরু হবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy