প্রয়াত শাশুড়িমাকে নিয়ে অতীতচারী কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
নেটমাধ্যমে তাঁকে খুব বেশি দেখা যায় না। নিজের ছবি ছাড়া অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলতেও পছন্দ করেন না তিনি। কিন্তু এক জন মানুষকে নিয়ে নেটমাধ্যমে আবেগ ছড়ালেন তিনি। সেই মানুষ 'মাসি' থেকে 'মা' হয়ে উঠেছিলেন কোনও এক সময়। সেই মানুষ তাঁর স্ত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের মা শিক্ষিকা সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রণাম নয়। আদরের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। প্রথম দিকে মনের অন্দর খুলে না দিলেও শাশুড়ি ক্রমশ পরিচালক-অভিনেতার বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। এমন বন্ধু, দুঃখ থেকে গর্ব যাঁর সঙ্গে অনায়াসে ভাগ করে নেওয়া যায়। কৌশিক লিখছেন, ‘ঠিক এক বছর আগে ! এখন বাড়ি ফিরেছিলাম মাঝরাতে, শেষকৃত্য করে! তারপর কত পরপর অনেক স্বজন বিয়োগ হল! সয়েও গেল। তবে অভ্যাস মতো তোমার চুপচাপ চলে যাওয়াটা কেউই হয়তো মানতে পারেনি পরিবারে।’
অভিনেত্রী-পরিচালক চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ও তাঁর মায়ের চলে যাওয়া নিয়ে আবেগতাড়িত। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড আক্রান্ত মাকে দাহও করতে পারেননি। শববাহী গাড়িতে তোলার পরে দূর থেকে দেখার অনুমতি পেয়েছিলেন মাত্র। এক বার ছুঁতেও পারেননি। শ্মশানে গিয়েছিলেন। সেখানেও ভিতরে ঢুকতে পারেননি। অভিনেত্রীর স্মৃতিকথা, ‘দূর থেকে দেখলাম, সাদা চাদরে মোড়া মা ধীরে ধীরে ভিতরে ঢুকে গেল। একটা সময়ের পরে তার আর কোনও অস্তিত্বই নেই!’
কৌশিকও সমব্যথী। তাঁর মনে হয়েছে মৃত্যু অভ্যাসের মতো। চলে যাওয়া কোথাও সয়ে যায়। আচমকা যে মানুষ তাঁর জীবনে উৎসবের মতো হাজির হতেন, তিনি আর নেই। কিন্তু তাঁর সেই ‘মা’-এর চলে যাওয়াকে হারিয়ে ফেলতে চাননি। তাই শাশুড়ি মায়ের উৎসবের মতো আসাকেই কোথাও নিজের মতো করে উদ্যাপন করেছেন কৌশিক। লিখছেন, ‘কী ভাবে তোমাকে ছোঁব ভেবে না পেয়ে বাজার থেকে ইলিশ মাছ কিনে আনলাম। না হয় আমাদের জামাইষষ্ঠীর বিকল্প ইলিশ ষষ্ঠীই হোক! আজ রাতে তোমার জন্য ইলিশ হচ্ছে মা, কালোজিরে বেগুন দিয়ে। এটাই আমার স্মরণ, এটাই আমার তুমি। তুমি ওখানে ভাল আছো আমি জানি। প্রণাম তো তুমি নাও না, তাই আদর নাও।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy