কৌশাম্বী চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক।
২৭ জুন মাকে হারিয়ে ফেলেছেন কৌশাম্বী চক্রবর্তী। ১৪ জুলাই অভিনেত্রীর জন্মদিন। মাকে ছেড়ে জন্মদিন কাটাতে হবে, ভাবতেই পারেননি কোনও দিন। রবিবারের সকাল তাঁর ব্যথা বুঝেই কি মেঘলা? অভিনেত্রী আজ সব কিছুতেই খুঁজে ফিরছেন তাঁর সদ্যপ্রয়াত মাকে। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। ধরা গলায় বললেন, “কিছুই ভাল লাগছে না। কথা বলতেও ভাল লাগছে না।” প্রতি বছর আগের রাত থেকে চলে ধুমধাম, হুল্লোড়। এ বছর সব কিছুই যেন ধূসর। অভিনেত্রী তাই নতুন পোশাকও কেনেননি। এখনও দেখা করতে যেতে পারেননি বাবার সঙ্গে। ও বাড়িতে পা রাখলেই বুঝি মায়ের অভাব নতুন করে আঁকড়ে ধরবে তাঁকে!
এ দিন হয়তো তাই বন্ধুদের নিয়ে বড় করে কেক কাটাও হবে না। তাঁর পছন্দের নানা পদ নিজের হাতে রান্না করে মা সাজিয়ে দেবেন না। এ দিন কৌশাম্বী বিকেলে যাবেন বৃদ্ধাশ্রম। এমনই জানিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি কিছু উপহার তুলে দেবেন সদস্যদের হাতে। বললেন, “এ বছর এটুকুই। এর বেশি আর কিছু না।” মাকে কিছু বলার আছে? ফোনের ও পারে নিস্তব্ধতা। অভিমানে, ব্যথায় বুঝি গলা বুজে এসেছে তাঁর। অস্ফুট কণ্ঠস্বর বলল, “কিছু বলার নেই। কিছুই বলব না মাকে।” তত ক্ষণে কান্না এসে জমেছে কৌশাম্বীর কণ্ঠস্বরে।
মা চলে যাওয়ার পরে অবশ্য আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে কলম ধরেছিলেন তিনি। উজাড় করে দিয়েছিলেন তাঁর অনুভূতি। লিখেছিলেন, “এই প্রথম, চাইলেও তোমাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, তুমি কোথাও নেই। অথচ, আগের দিন তুমি আমাকে দেখতে এসেছিলে। আমাদের বাড়িতে এসে কত ক্ষণ থেকে গেলে। হাসিঠাট্টা, গল্পে কী ভাল সময় কাটল! রাতেও মাসির সঙ্গে তুমি অনেক কথা বলেছ। সেই তুমি হঠাৎ করে নেই! তুমি কি কোনও ভাবে টের পেয়েছিলে মা? তাই তোমার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেষ বারের মতো দেখা করে গেলে? তুমি জানো, বাবার শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে। তোমার মতো করে বাবাকে এ বার কে আগলে রাখবে? বাবা যে ভীষণ একা হয়ে গেল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy