কাজলের দাবি, লং ড্রাইভে নিরাপদে গাড়িতে বসে ঘুমাতে অনেক বছরের অভিজ্ঞতা লাগে। —ফাইল চিত্র
কখনও বিতর্কে, কখনও রসিকতায় শিরোনামে আসেন অভিনেত্রী কাজল। মঙ্গলবার গাড়িতে যেতে যেতে বানিয়ে ফেললেন শিক্ষণীয় ‘খোরাক’। সিটে বসেই ঘুমাবেন, অথচ সহযাত্রীর সঙ্গে মাথা ঠুকবে না, বা অন্য কিছুর সঙ্গে ঠুকেও মাথায় চোট লাগবে না— এও কি সম্ভব? গাড়ির দুলুনিতে কেমন করে নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায়, ভিডিয়ো করে দেখালেন কাজল।
ধূসর রঙের টিশার্টের উপর পরেছেন লাল টুকটুকে জ্যাকেট। কাজল গিয়েছিলেন লং ড্রাইভে। সেই সফরে ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। কাজল পছন্দ করেন ঘুমিয়ে নিতে। কিন্তু যদি মাথা ঠুকে যায়? কাজল জানান, অনেক দিনের অভ্যাস তাঁর। গাড়িতে নিরাপদে ঘুমানো এখন জলভাত। ভিডিয়োটি পোস্ট করে কাজল লিখলেন, “সাবধান! ভাল ভাবে না রপ্ত হলে এমনটা করতে যাবেন না যেন! অনেক বছরের অভিজ্ঞতা লাগে, লং ড্রাইভে নিরাপদে গাড়িতে বসে ঘুমাতে। অন্তত ২৫ বার তো মাথা ঠুকবেই! পাশের কারও সঙ্গে কিংবা অন্য কিছুতে। সেটা কাটিয়ে উঠে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারা একটা শিল্প। আমায় দেখুন আর শিখে নিন।”
সেই ভিডিয়ো দেখে রসিকতার সুযোগ ছাড়লেন না অনুরাগীরাও। ঘুমন্ত কাজলের উদ্দেশে কেউ লিখলেন, “আরে উঠুন! ওই যে আইসক্রিমের দোকান!” আবার কেউ লিখলেন, “একটু-আধটু মাথা ঠোকা ভাল। কিন্তু আগে বলুন, ঘুমানোর সময়ও আপনাকে কী ভাবে এত সুন্দর লাগছে?”
জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে মজা করেন কাজল। এর আগে বসে বসে খাওয়ার একটি ছবি দিয়েছিলেন। তার ক্যাপশনে লেখেন, “আমি প্রচুর খেতে পারি, এটাই ভাবছেন তো? একদম ঠিক। খিদে পেলে আমি আপনাদের সবাইকে খেয়ে নিতে পারি।” এর পরই কাজল মনে করিয়ে দেন, যা বললেন সেটি রীতিমতো খবর! কেউ কি আগ্রহী হবেন এটা ছাপতে?
শুধু তা-ই নয়, নিজের গায়ের রঙের বদল নিয়েও মজা করেন কাজল। মুখে ফেসমাস্ক লাগিয়ে ছবি পোস্ট করে লেখেন, “এই যে যারা জানতে চাও আমি কী করে ফরসা হলাম, তাদের জন্য।” যদিও আসল কারণ ব্যখ্যা করেছিলেন সঙ্গেই। কাজলের দাবি, আগে রোদে পুড়ে কাজ করতেন, সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেন না, তাই ‘ট্যান’ হয়ে গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy