Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Manali Dey

Holi 2022 Special: আবির খেলা থেকে মাটন কষা, রঙের উৎসবে কতটা রঙিন টলিপাড়ার তারকা-দম্পতিরা?

টলিপাড়ার দম্পতিদের রঙের উৎসবের খবর নিল আনন্দবাজার অনলাইন।

রঙের উৎসবে আনন্দে মেতেছেন টলিউডের তারকা-দম্পতিরা।

রঙের উৎসবে আনন্দে মেতেছেন টলিউডের তারকা-দম্পতিরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২ ১২:২০
Share: Save:

কেউ চুটিয়ে রং খেলবেন, তো কেউ আবার অতিথি আপ্যায়নের অপেক্ষায়। সারা বছর তাঁরা বেজায় ব্যস্ত। কিন্তু দোলের দিন ছুটি চাই-ই চাই! টলিপাড়ার দম্পতিদের রঙের উৎসবের খবর নিল আনন্দবাজার অনলাইন।

মানালি দে

ছোটবেলা থেকেই আমি পাড়াতেই দোল কাটাই। বাবা, দাদু আর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে শুরু হয় রঙের উৎসব। বিয়ের পরেও অন্যথা হয় না। সকাল সকাল আমি আর অভি (অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়) চলে আসি বাবা আর দাদুর সঙ্গে দেখা করতে। এ বছরও তাই করব। বছরে এই একটা দিনই রং খেলার সুযোগ পাই। মন ভরে আবির খেলব। ছোটবেলায় বাদুরে রং দিয়ে দোল খেলতাম। তার পর সেই রং ১৫ দিন ধরে তুলতে হত! কিন্তু এখন আর সেই অবকাশ নেই। তবে এখন আবিরেও অনেক সময় রং মেশানো থাকে। সেই রং তুলতেও চাপ হয়। কিন্তু শ্যুটে বেশি বেশি মেক আপ দিয়ে কোনও কাজ চালিয়ে নিই। রঙের উৎসবে রং মাখব না, তা কি হয়? দোলের দিন আরও একটা জিনিসের অপেক্ষায় থাকি— দুপুর বেলার ধোঁয়া ওঠা ভাত আর মাটন। রং খেলার পর এ বারেও পাতে সেটাই থাকবে। ভুরিভোজ ছাড়া আমার কাছে রঙের উৎসব কিন্তু এক্কেবারে ফিকে!

তৃণা সাহা

প্রায় এক দশক ধরে আমি আর নীল (ভট্টাচার্য) একসঙ্গে দোল কাটাই। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে চুটিয়ে দোল খেলি। হইহুল্লোড় হয়। তবে এ বারের দোলটা একটু আলাদা। বিয়ের পর এই প্রথম আমরা হোস্ট! অর্থাৎ অতিথি আপ্যায়নের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। আমাদের কাছের বন্ধুরা আজ বাড়িতে আসবে। ওদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা হবে। আর হবে খাওয়াদাওয়া। মেনুতে থাকছে পোলাও, মাটন, আমের চাটনি আর রাবড়ি। আসলে প্রত্যেকটা দোলই আমরা বাইরে বাইরে কাটিয়েছি। তাই এ বার মনে হল বন্ধুদের বাড়িতে ডাকি। কাজের ব্যস্ততায় মন খুলে গল্প হয়নি অনেক দিন। রঙের উৎসবটা তাই ভালবাসার মানুষদের জন্য কাটাব।

বিয়ের পর প্রথম একসঙ্গে দোল কাটাচ্ছে ঈপ্সিতা-অর্ণব।

বিয়ের পর প্রথম একসঙ্গে দোল কাটাচ্ছে ঈপ্সিতা-অর্ণব।

ঈপ্সিতা মুখোপাধ্যায়

বিয়ের পর প্রথম দোল। আমি আর অর্ণব (বন্দ্যোপাধ্যায়) এই দিনটা বরাদ্দ রেখেছি দুই পরিবারের জন্য। অর্ণবের সঙ্গে গত দু’বছর রং খেলেছি। তবে এ বার ব্যাপারটা একটু আলাদা। আমি এখন গিন্নি! কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে বাড়ির কাজকর্ম না করলে সেই গিন্নি-গিন্নি ভাবটাই বা আসবে কেন! তাই সবাইকে নিজের হাতে খাবার পরিবেশন করব। একটা দিন কাজের বাইরে মা, বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেওরকে নিয়ে সময় কাটাব।

দেবলীনা কুমার

মা, বাবা আর গৌরব (চট্টোপাধ্যায়)কে নিয়ে শান্তিনিকেতনে দোল কাটাচ্ছি। গৌরব যদিও রং মাখতে একেবারেই ভালবাসে না। তবে আমি ঠিক উল্টো! রং মেখে ভূত হতে আমার দিব্যি লাগে। তাই আমি যখন দোল খেলি গৌরব আমার পাশে থাকে। কিন্তু শান্তিনিকেতনের রং খেলার চল ঠিক নেই। এখানে আবির খেলা হয়। তাই দোল খেলছি আবির দিয়েই। রং খেলার পাট চুকিয়ে মাটন কষা দিয়ে ভুরিভোজের পালা। এই একটা দিন ডায়েট ভুলতেও আমি রাজি!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE