ফারহা খান। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্দরে কী কী গলদ রয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুললেন ফারহা খান। বর্তমানে অভিনেতাদের চাহিদা ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী। যদিও অভিনেতাদের পারিশ্রমিকের নিরিখে সে কথা বলেননি ফারহা।
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অধিক মাত্রায় লোকজন নিয়ে সেটে আসার ফলে প্রযোজকের উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়, ফারহার বক্তব্য তাকে ঘিরেই। এই প্রসঙ্গে পরিচালক বললেন, “এক জন অভিনেতা ৮ জনের দল নিয়ে সেটে আসেন অথবা এক জন অভিনেত্রী ৯ জনের দল নিয়ে সেটে ঢোকেন। আগে এই সব হত না।” সেই বাড়তি লোকজন ছবির সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত থাকেন না বলে, জানালেন ফারহা। এই বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আনার দাবি জানালেন তিনি।
এতে কী ভাবে ছবির বাজেট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ছবির লভ্যাংশ তোলার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তার সরল হিসাব তুলে ধরলেন তিনি। তাঁর কথায়, এক জন স্পট বয় প্রত্যেক দিন গড়ে ২৫ হাজার টাকা পান, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ১৫ হাজার। অন্য দিকে, স্টাইলিশের খরচ প্রায় ১ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এক জন শিল্পীর জন্য মাথাপিছু খরচ দিনে অন্তত ২০ থেকে ২২ লাখ হচ্ছে। এখন একটি ছবির শুটিং চলে প্রায় ৭০ দিন। সবটা মিলে এই খরচ তখন প্রায় ১৫-২০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়ায়। ছবির বাজেটে তাই বাড়তি খরচ ছেঁটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন ফারহা।
এ ছাড়াও আরও একটি বিষয় নজরে আনতে চান তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ফারহা জানালেন, আগে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে সম্পর্ক প্রাধান্য পেত। কাজের প্রয়োজনে অভিনেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যেত। কিন্তু নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে ম্যানেজার, এজেন্সি ইত্যাদির মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। ম্যানেজার, এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার পরে শিল্পীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ফলে সেই সাবলীল সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ফারহা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy