Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Esha Deol Divorce

দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের জন্মই কি হিরে ব্যবসায়ী ভরতের সঙ্গে এষার বিচ্ছেদের কারণ?

যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন এষা-ভরত। কিন্তু কন্যাসন্তান মীরায়ার কারণেই কি তাঁদের সম্পর্ক ভাঙল?

esha Deol reveals her husband bharat takhtani felt neglected after the birth of her second baby

ভরত তখতানি এবং এষা দেওল। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৩১
Share: Save:

মঙ্গলবারই বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন অভিনেত্রী এষা দেওল। ১২ বছরের দাম্পত্যে যবনিকা পতন। যৌথ বিবৃতি দিয়ে অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী জানান, পারস্পরিক সম্মতিতেই দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানছেন তাঁরা। তবে বছর দুয়েক আগেই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর ও স্বামী ভরতের সম্পর্কের অবনতির কথা। শুরুটা হয় দ্বিতীয় কন্যা মীরায়ার জন্মের পর থেকেই।

২০২০ সালে একটি বই লেখেন এষা। নাম ‘আম্মা মিয়া: স্টোরিজ়, অ্যাডভাইস অ্যান্ড রেসিপিজ়’। সেখানেই অভিনেত্রী জানান, দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর থেকেই নাকি স্বামী ভরত ‘অবহেলিত’ বোধ করতে থাকেন।

এষা তাঁর বইতে লেখেন, ‘‘দ্বিতীয় সন্তানজন্মের অল্প সময়ের মধ্যে আমি লক্ষ করি যে, ভরত আমার সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ করছে, প্রায় সারাক্ষণই বিরক্ত। আসলে ও অনুভব করেছিল, আমি ওর প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছি না। জানি, কোনও স্বামীর পক্ষে এই রকম অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক। সেই সময়, এক দিকে আমি রাধ্যার স্কুল, অন্য দিকে মীরায়াকে খাওয়ানো— এই সব নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। সঙ্গে ছিল আমার বই লেখা ও আমার প্রযোজনা সংস্থার মিটিং। আমি ধীরে ধীরে নিজের ত্রুটি বুঝতে পারি। এক বার ভরত একটা নতুন ব্রাশ চেয়েছিল, সেটা আমার মাথা থেকেই বেরিয়ে যায়। কখনও আবার ওর জামা ইস্ত্রি করা হয়নি, তো কখনও খাবার না খেয়েই অফিসে চলে গিয়েছে, আমি খেয়ালও করিনি।’’ যদিও এষা নিজেই জানিয়েছেন সম্পর্কের ফাঁকফোকরগুলো খুব তাড়াতাড়ি শুধরে নিয়েছিলেন। তবু ফল মেলেনি। শেষমেশ বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন তাঁরা। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর স্বামী ভরত নাকি পরকীয়ায় জড়িত। মুম্বই ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে থাকছেন প্রেমিকাকে নিয়ে। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি খ্যাতনামী এই হিরে ব্যবসায়ী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE