বিষক্রিয়ায় মৃত্যু সতীশ কৌশিকের? দিল্লির ব্যবসায়ীর স্ত্রীর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য। ফাইল চিত্র।
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা এবং পরিচালক সতীশ কৌশিকের মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। ৮ মার্চ দিল্লিতে এক বন্ধুর খামারবাড়িতে হোলি পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন সতীশ। সেখানেই অনুভব করেন শারীরিক অস্বস্তি। হাসপাতালে যাওয়ার পথে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতার। উক্ত খামারবাড়িতে হানা দিয়ে ইতিমধ্যেই কিছু ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। এ বার সতীশ মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। দিল্লিতে যে ব্যবসায়ীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টির আয়োজন হয়েছিল, তাঁর স্ত্রীর দাবি, সতীশকে বিষ দিয়ে থাকতে পারেন তাঁর স্বামী। সেই বিষক্রিয়ার জেরেই নাকি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার, এমনটাই দাবি ব্যবসায়ীর স্ত্রীর। কুবের গ্রুপের শীর্ষকর্তা বিকাশ মালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরই দ্বিতীয় স্ত্রী সানভি মালুর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। একটি চিঠিতে তিনি জানান, বিকাশ মালুকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন সতীশ। সেই টাকা ফেরত চেয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে এক বার বিদেশে দেখাও করেন অভিনেতা। টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে ওঁদের দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছিল বলে দাবি ব্যবসায়ীর স্ত্রীর। সতীশকে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন বলে নাকি কথাও দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সানভির দাবি, ওঁর স্বামীর খামারবাড়িতে পার্টিতে এসেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সতীশ। তাই সানভির ধারণা, ওঁর স্বামীই টাকা ফেরত দেওয়া থেকে বাঁচতে অভিনেতাকে বিষজাতীয় কিছু দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, দিল্লির ওই খামারবাড়ি থেকেই বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। সানভির জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ওঁকে তলব করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এই প্রথম নয়, এর আগেই স্বামী বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন ওঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সানভি। গত বছর বিকাশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন তিনি। তবে সতীশের মৃত্যু নিয়ে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের তরফেও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। প্রয়াত অভিনেতার ময়নাতদন্তের বিস্তারিত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করেছে দিল্লি পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে পুলিশ। প্রয়াত অভিনেতার হৎপিণ্ড এবং রক্তের নমুনা রাখা হয়েছে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy