Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Bengali Movies

বাংলা ছবির হালহকিকত: এ বছরের উল্লেখযোগ্য ৫

২০১৯ সালে অনেকগুলি বাংলা ছবিই তৈরি হয়েছে। আনন্দবাজার ডিজিটাল তার মধ্যে বেছে নিয়েছে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য ছবিকে। মনে রাখতে হবে, এই বাছাইবক্স অফিসে সাফল্যের নিরিখে নয়।২০১৯ সালে অনেকগুলি বাংলা ছবিই তৈরি হয়েছে। আনন্দবাজার ডিজিটাল তার মধ্যে বেছে নিয়েছে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য ছবিকে। মনে রাখতে হবে, এই বাছাইবক্স অফিসে সাফল্যের নিরিখে নয়।

দেখে নিন কোন পাঁচ বাংলা সিনেমাকে বেছে নিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

দেখে নিন কোন পাঁচ বাংলা সিনেমাকে বেছে নিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৪২
Share: Save:

কী: কোয়েলের কামব্যাক ছবি। নায়িকা পঞ্চাশতম ছবিতে জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিনয় করলেন। দু’বছর অন্তরালে থাকার পর কোয়েলের সদম্ভে প্রত্যাবর্তন। সম্পূর্ণভাবে ওয়ারড অব মাউথ সাফল্য পাওয়া ছবি।

কেন: প্রায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই টলিউডের এক নম্বর অভিনেত্রীর গ্ল্যামার ছেড়ে মাসির ভূমিকায় অবতরণ। যা কিনা অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ। এই ছবি নারীবাদ নয়, জেন্ডার ইকুয়ালিটির কথা বলে। যা এখনকার দর্শক দেখতে চায়।মিতিন বন্দুকও চালায়। তরকারিও কাটে। পার্থ মেসোকেও ভালবাসে। নতুন প্রজন্মও এই মাসিকে গ্রহণ করতে পারে।

মিতিনমাসির চরিত্রে কোয়েল বাংলা ছবিতে নায়িকার মাসি না হওয়ার মিথ ভেঙে দিয়েছিলেন পুরোপুরি

কেমন হয়েছে: কোয়েল শুধু এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নয়, বলা যায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। মাসি হয়ে এখন দর্শকের কাছের মানুষ তিনি। নায়িকার মাসির চরিত্রে সাফল্য বাংলা ছবিতে নায়িকার মাসি না হওয়ার মিথ ভেঙে দিল।আগের বেশ কয়েকটা ছবিতে স্বামীর ঘরের প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে কাজ করলেও এই ছবিতে সেই কমফর্ট জোনছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন কোয়েল। অন্য দিকে, ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন হাউজ একের পর এক ছবি করে চোদ্দো-পনেরো কোটি টাকা বাজারে ইনভেস্ট করার পর প্রথম এই ছবিতে লাভের মুখ দেখল। এক কোটি নব্বইয়ের ছবি চার কোটি টাকার ব্যবসা দিয়েছে।বাংলার দর্শক প্রমাণ করে দিল, তথাকথিত দু’-তিনটি বড় হাউজের বাইরে এসেও ছবি হিট হয়। ‘মিতিনমাসি’র রিপোর্ট কার্ড প্রকাশের পর বড় ঘর হলেই ছবি হিট, এমনটা আর ধরে নেওয়া যাচ্ছে না।পুজো রিলিজে বড় হাউজের ছবির চাপে মিতিন মাসির অর্ধেক শো-ই ছিলসকাল নটায়।তা সত্ত্বেও চার থেকে পাঁচটা পুজোর শো টানা হাউজফুল।প্রযোজক শুধু খুশিই নন, পরিচালক অরিন্দম শীলকে ‘মিতিনমাসি’ রিলিজের চার দিনের মাথায় নতুন ছবির কনট্র্যাক্ট সই করান।সে ছবির নাম ‘মায়াকুমারী’।পরের মিতিনমাসি-র পুরো ছবি কেরলে শুট হবে।


এবং: সিনেমার সাফল্যের একটা কায়দাই হচ্ছে তার ফ্র্যান্চাইজি তৈরি করা।যেমন জেমস্ বন্ড, যার প্রথম ছবি আসে সাতান্নবছর আগে! প্রধান চরিত্র করেছেন শন কোনারি থেকে ড্যানিয়েল ক্রেগের মতো অভিনেতা। বন্ডের এই ফ্র্যান্চাইজি বক্স অফিসকে এখনও কাঁপিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানে ফেলুদা, ব্যোমকেশ বলা যেতে পারে এই ফ্র্যান্চাইজিকরেছে। ‘মিতিনমাসি’ এই ফ্র্যান্চাইজির তালিকায় নবীনতম সংযোজন হতে যাচ্ছে। মুখ্য ভূমিকায় কোয়েল থাকুক বা অন্য কেউ।


কী: বহু প্রতীক্ষার পর এই প্রথম সত্যজিতের বইয়ের পাতা থেকে শঙ্কু সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় বড় পরদায়। ফেলুদার বেঞ্চমার্ক ছিল। শঙ্কুর নেই। এ ছবিতে শঙ্কু অনর্গল ইংরেজি বলা খ্যাপাটে বিজ্ঞানীই নয়। গিরিডিতে থাকা বাঙালি। শঙ্কুর প্রথম ছবিতে গুরুত্ব পেল বাঙালি কানেকশন। শঙ্কু একা নয়।সঙ্গে তাই নকুড়বাবু।আমাজনের মিস্টিক জঙ্গল আর মানসের মতো সাজান শহরবাংলা ছবিতে।

কেন: বাংলা ছবিতে গোয়েন্দাদের ভিড়ে শঙ্কুর মতো সায়েন্স ফিকশন নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম। পরিচালকের রায়, শঙ্কুকে অনর্গল ইংরেজি বলা বাঙালি হতেই হবে। শর্ত মেনে শঙ্কুর আন্তর্জাতিক চেহারা ফুটিয়ে তুলতে শঙ্কুর চরিত্রে তাই ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।দুটো ভার্সানে ছবি মুক্তি পাচ্ছে। শহরে বাংলা আর ইংরেজি। আর শহরতলিতে শুধুই বাংলা। শঙ্কুকে ছড়াতেও হবে। বাইলিঙ্গুয়াল ছবি তাই বাজার অনেক বড়।

শঙ্কুর আন্তর্জাতিক চেহারা ফুটিয়ে তুলতে শঙ্কুর চরিত্রে তাই ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কে বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক সন্দীপ রায়

কেমন হবে: আট থেকে আশি শঙ্কুকে দেখার অপেক্ষায়। সত্যজিৎ রায় হলিউডে শঙ্কু করতে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন। তাঁর সময়ের প্রযুক্তি দিয়ে তিনি আর শঙ্কু করার কথা ভাবতে পারেননি। বড় ঘরের প্রযোজকের ভরসায় সন্দীপ শঙ্কু করার সাহস পেলেন।ছবির বাজেট দশ কোটিতে পৌঁছেছে। দেশি-বিদেশি দুই দলের অভিনেতার সমন্বয়ে ছবি তৈরি হল। গ্রাফিক্সের পুরো কাজ হয়েছে কলকাতায়। বাংলা ছবিও যে আন্তর্জাতিক হতে পারে শঙ্কুর নির্মাণ তা প্রমাণ করে দিয়েছে।এই শঙ্কু সমসাময়িক। সত্যজিতের শঙ্কু পিস্তল বা অ্যানাইহিলিন নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেন। কিন্তু সন্দীপের শঙ্কু? বদলে গেল অ্যানাইহিলিন...!

এবং: বড়দিনে বরাবর ফেলুদা উপহার দিয়ে এসেছেন সন্দীপ রায়। বাঙালি দর্শক ডিসেম্বরের ছুটিতে তাঁর কাছ থেকে কিছু না কিছু আশা করেই থাকে। সন্দীপের বড়দিনের বড় ছবি এ বার শঙ্কু।দর্শকদের মন জয় করলে বাংলা ছবিতে ফেলুদার মতো শঙ্কু সিরিজও আরম্ভ হবে বলে আশা করছে ইন্ডাস্ট্রি। এমনকি, ডবল ফেলুদার মতো ডবল শঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।


কী: এক্স ফ্যাক্টর অপর্ণা সেন। বাঙালি দর্শক তাঁর ছবি দেখতে আজও হলে ভিড় করে। ত্রিকোণ প্রেমের সমীকরণে রাজনৈতিক ছবি।ছবি থেকে চরিত্র, গল্প বলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর সত্যজিৎ রায়ের ভাবনা। বাঙালির কৌতূহল তাই স্বভাবতই বেড়েছে। বাঙালি মেয়েদের নতুন হার্টথ্রব অনির্বাণ ভট্টাচার্য এ ছবিতে নিখিলেশের চরিত্রে। নজর কাড়ে দলিত বিমলা আর সন্দীপের পরকীয়ার দৃশ্যায়ন যা কিনা অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ।

কেন: গৌরীলঙ্কেশের মৃত্যু। বাংলাদেশে ব্লগার খুন। অপর্ণা ‘ঘরে বাইরে আজ’-এ জুড়ে দিলেন আজকের সময়। সঙ্গে ত্রিকোণ প্রেম। দর্শক বরাবর এই ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক ছবিতে দেখতে ভালবাসে। আর সেই প্রেমের নায়ক অনির্বাণ আর যিশু হলে তো কথাই নেই।

‘ঘরে বাইরে আজ’ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল সিনেমাতেও মিশে যেতে পারে রাজনীতি

কেমন হয়েছে: যত দিন যাচ্ছে এই ছবির দর্শক সংখ্যা বাড়ছে। চতুর্থ সপ্তাহে এই ছবির হল কালেকশন সবচেয়ে ভাল। দর্শকের মুখে মুখে এই ছবির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ‘আরশিনগর’-এর পরে সাফল্যের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরলেন অপর্ণা। দিল্লি ওকলকাতায় শুটিং হলেও কম বাজেটের এই ছবি লাভের মুখ দেখছে। সন্দীপ এতদিন ভিলেন হয়ে বাঙালির মনে বাস করেছে। এই ছবিতে সে যিশু সেনগুপ্ত। যার সেক্স অ্যাপিল থেকে আত্মবিশ্বাস সন্দীপকে নতুন করে চিনিয়েছে। নবাগতা তুহিনা দাসের প্রথম আত্মপ্রকাশ এই ছবিতে।

এবং: গোয়েন্দা গল্প আর সামাজিক সমস্যা নিয়ে তৈরি বাংলা ছবির ভিড়ে ‘ঘরে বাইরে আজ’ নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম। এই ছবি দেখিয়ে দেয় রাজনীতি কোনও আলাদা বিষয় নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে রাজনৈতিক ছবি করার সাহস বাড়িয়ে দিলেন অপর্ণা।

কী: বাংলায় প্রথম ছবি যা পিতৃতন্ত্রের বাইরে গিয়ে শাশুড়ি-বউমার প্রতিযোগিতা নয়, পারস্পরিক সহমর্মিতার কথা বলে। বউমা শাশুড়িকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারে শান্তি আনতে। বাংলা ছবিতে প্রথম।

কেন: সম্পূর্ণ স্টারহীন ছবি। স্টার নয় এরকম দুই মহিলা এসে জ্যাকপট মেরেছে এই ছবিতে। একজন অনসূয়া মজুমদার। চল্লিশ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পরপ্রধান চরিত্রে কাজ করলেন এই প্রথম।অন্য জন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থাকলেও ছবির প্রচারে ছিল এই দু’জনের মুখ। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মুক্তি পাওয়া প্রথম বাংলা ছবি যার অধিকাংশ বিভাগই মহিলাদের দ্বারা চালিত। পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, এমনকি কস্টিউম ডিজাইনার— সব মহিলা। পৃথা চক্রবর্তীর মতো নতুন পরিচালক যে ব্লকব্লাস্টার ছবি তৈরি করতে পারেন এই বিশ্বাস ‘মুখার্জীদার বউ’ তৈরি করে দেয়। বাংলা ছবিতে নতুনপ্রজন্মের পরিচালকরাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।

বউমা-শাশুড়ির সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে তৈরি এই ছবি দর্শক হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল অনায়াসেই

কেমন হয়েছে: ব্যবসার বিচারে ২০১৯-এরসেরা ব্লকব্লাস্টার ছবি। নভেম্বর মাসে এই ছবি তৈরি হয়েছে। খরচ উনষাট লক্ষ। মার্কেটিংয়ের খরচ পাঁচ থেকে ছ’লক্ষ টাকা। মোট পঁয়ষট্টি লাখের ছবি। থিয়েট্রিকাল ব্যবসা করেছে এক কোটি দশ আর মোট ব্যবসাতিন কোটির।মার্চে মুক্তি পেয়ে এই ছবি প্রযোজকের ঘরে এপ্রিলের মধ্যেই ডবল রিটার্ন দেয়। শুধু তাই নয়, স্যাটেলাইট, ডিজিটাল একসঙ্গে এই ছবি কিনে নেয়। স্টার। হটস্টার। হইচই।

এবং: মার্চ মাস পরীক্ষার মাস। ইন্ডাস্ট্রি এই মাসকে ‘ডেড মান্থ’বলে জানে। ‘মুখার্জীদার বউ’এই পরীক্ষার মাসেই মুক্তি পেয়ে বড়সড় লাভের মুখ দেখায়। ফলেমার্চে মহিলাকেন্দ্রিক ছবি মুক্তির কথা ভাবতে আরম্ভ করেছে ইন্ডাস্ট্রি।

কী: ডিজিট্যাল সার্ভেইল্যান্স নিয়ে বাংলায় প্রথম ছবি। অনলাইনফ্রড এবং এই ডিজিটাল দুনিয়ার অন্ধকার দিক তুলে ধরেছে এই ছবি।
এমন ধরনের কাহিনি নিয়ে এর আগে বাংলা ছবি হয়নি। ছবির গ্রাফিক্স থেকে অ্যাকশন দৃশ্য, গল্প বলা অন্য ধাঁচে। সঙ্গে থ্রিলার এলিমেন্ট। নায়ক দেব যত নম্বর পাবেন, তার থেকে এক নম্বর হলেও বেশি পাবেন প্রযোজক দেব এমন একটা ছবি তৈরি করার জন্য। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় তাঁর ফিল্মে বিশাল পটভূমি নিয়ে উপস্থিত হন। লুক, ফিল ও গল্প বলার ভঙ্গিতে বাংলা ফিল্মও যে জায়গা করে নিতে পারে বিশ্ব ফিল্মের সারিতে,‘পাসওয়ার্ড’ তা প্রমাণ করেছে।

কেন: দেব-কমলেশ্বর জুটির চার নম্বর ছবি।দেব-কমলেশ্বর ‘অ্যামাজন ম্যাজিক’ পাসওয়ার্ডেও কাজ করেছে। প্রথমবার পরম-দেব জুটি বাংলা ছবিতে।
নিজের প্রযোজনা সংস্থার তরফে ‘চ্যাম্প’, ‘কবীর’, ‘ককপিট’-এর মতো একের পর এক নতুন বিষয়ের উপর ছবি বানিয়ে বাংলার বাণিজ্যিক ছবির সংজ্ঞাকেই বদলে দিচ্ছেন দেব।ইন্ডাস্ট্রিতে আদ্রিতের মতো নতুন অভিনেতা এই ছবির আবিষ্কার।

দেবের কেরিয়ায়ে একটা বড় চ্যালেঞ্জ পাসওয়ার্ড, পাশ করেছেন ভালভাবেই

কেমন হয়েছে: দেব হিরো, তায় পুলিশ, শার্ট পরিহিত টাফ লুকে দর্শকদের মন কেড়েছেন। যেমন পরম-পাওলি জুটি। দেব-রুক্মিণী জুটিকে পর্দায় দেখার আগ্রহ বাড়িয়েছে এই ছবি। বাংলা ফিল্মের নায়িকারা আর সেট প্রপার্টিজের মতো শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি বা ফ্রেম কম্পোজিশনের অঙ্গ হয়ে থেকে যেতে রাজি নন।সময় ও সুযোগ দুটোই এখন নায়িকাদের সপক্ষে। ‘পাসওয়ার্ড’-এ পাওলি আর রুক্মিণীর চরিত্র নায়িকার সমীকরণকে নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে।

এবং:কনটেন্ট নির্ভর বাংলা ছবির রাজ্যে শুধু বাজারি ফর্মুলায় ছবি করে সাম্রাজ্য ধরে রাখা যাবে না আর। দেব সেটা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন।সেই কারণেই নিজের প্রযোজনায় পাসওয়ার্ড করেবড় ঝুঁকি নিয়ে দেখালেন দেব।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy