বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মায়ানগরীর যাত্রাটা পঙ্কজের কাজে খুব সহজ ছিল না। ফাইল চিত্র।
এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে চর্চিত অভিনেতাদের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। বলা হচ্ছে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর কথা। ২০০৪ সালে ‘রান’ ছবিতে ছোট্ট চরিত্র দিয়ে শুরু করে এখন বলিউডে দাপিয়ে কাজ করছেন পঙ্কজ। এই মুহূর্তে অভিনেতা ৫৩তম গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রয়েছেন। নিজের অভিনয়-জীবনের সফর নিয়েও সেখানে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন ‘মির্জাপুর’ সিরিজের কালিন ভাইয়া। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মায়ানগরীর যাত্রাটা পঙ্কজের কাজে খুব সহজ ছিল না। অভিনেতার কথায়, ‘‘আমার গ্রামে ঠিক মতো বিদ্যুত ছিল না। অভিনয়ের থেকে অনেক দূরে বাস করতাম আমি। কিন্তু গ্রামেই নাটক দেখে অভিনয়ের প্রতি আমার কৌতূহল জন্মায়।’’
পঙ্কজ মনে করেন, নিজের শিকড়কে কখনও ভোলা উচিত নয়। তিন বলছেন, ‘‘নিজের শিকড়কে ভুলে গেলে তখন বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে ওঠে। এখন আমি যেখানে রয়েছি সেটা আমার গ্রাম আমার শিকড়ের দৌলতে।’’ ইদানীং মায়ানগরীতে কাজের সুযোগ বেড়েছে। পাশাপাশি চটজলদি সাফল্য পেতে চান নতুনরা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই পঙ্কজ মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে শুধু মাত্র অর্থ ও প্রচারের আলোর জন্য কারও অভিনয়ে আসা উচিত নয়। অভিনেতার কথায়, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে কেন আসতে চাইছি সেটা আগে বুঝতে হবে। নিজের প্রয়োজনকে বুঝতে হবে। মন দিয়ে কাজ করলে জীবনে টাকাকড়ি নিশ্চয়ই আসবে।’’ এই প্রসঙ্গেই অভিনেতা জানিয়েছেন যে, এখনও অভিনয় জীবনের প্রথম পারিশ্রমিক তিনি ভুলতে পারেননি। ছোট পর্দায় কাজের জন্য সে বার পঙ্কজের পারিশ্রমিক ছিল এক হাজার সাতশো টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy