মঙ্গলবার চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে অনিল কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
এই শহর জানে তাঁর প্রথম সব কিছু। কারণ বলিউডের ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ অনিল কপূরের দীর্ঘ কেরিয়ারের সূত্রপাত হয়েছিল এই কলকাতা শহরেই। মঙ্গলবার ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেই স্মৃতিই উপস্থিত শ্রোতাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অনিল।
কখনও ভাঙা বাংলা, আবার কখনও ইংরিজিতে এক আবেগঘন ভাষণ দিলেন অনিল। বললেন, ‘‘আজকে খুবই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছি। কারণ, এই শহর থেকেই এক সময়ে আমার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল।’’ সত্তরের দশকে পরিচালক এমএস সথ্যু তাঁর ‘কাঁহা কাঁহা সে গুজ়র গয়া’ ছবিটির শুটিং করেছিলেন কলকাতায়। রাজ্য সরকারের সহায়তায় তৈরি এই ছবিটিই ছিল অনিলের কেরিয়ারের প্রথম ছবি। অনিল ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলেন, ‘‘১৯৭৯ সালে মুম্বইয়ের ভিটি স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়া স্টেশনে এসে নেমেছিলাম। তার পর বাসে চেপে গিয়ে উঠেছিলাম বালিগঞ্জের গেস্টহাউসে। পরবর্তী ৪৫ দিন কলকাতাই ছিল আমার বাড়ি।’’
বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতা এবং শিল্পীদের নাম করতে গিয়ে অনিল উত্তম কুমারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার একটা ছবির নাম ‘নায়ক’।আপনারাই ছবিটাকে সুপারহিট করেছিলেন। অনেক পরে আমি সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘নায়ক’ ছবিটির কথা শুনি এবং ছবিটি দেখার পর বুঝতে পারি, কেন উত্তম কুমারকে ‘মহানায়ক’ বলা হয়।’’ সত্যজিতের ‘নায়ক’ ছবিটিকে বাংলার তরফে দেশ তথা বিশ্বের দরবারে সেরা উপহার বলে উল্লেখ করেন অনিল। আজও ছবিটি তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেনি বলে মনে করেন অনিল। অভিনেতা বলেন, ‘‘আজ এই মঞ্চ থেকে একজন ‘নায়ক’ বাংলার সর্বকালের সেরা মহানায়ককে সম্মান জানাতে পেরে গর্বিত।’’ তবে শুধু উত্তম কুমার নয়, তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সত্যজিতের কথাও। অনিল জানান, তিনি এবং তাঁর ছেলে অভিনেতা হর্ষবর্ধন কপূর সত্যজিৎ রায়ের গুণমুগ্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy