ঐন্দ্রিলা সেন। ছবি: সংগৃহীত।
বিগত কয়েক বছরে তিনি ছবিতে মন দিয়েছেন। পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ়েও পা রেখেছেন। অঙ্কুশের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘মির্জ়া’, ঐন্দ্রিলা সেনের তৃতীয় বাংলা ছবি হতে চলেছে। এই ছবি নিয়ে উচ্ছ্বাস ধরা পড়ল অভিনেত্রীর কণ্ঠে।
ছবির ট্রেলার থেকে আন্দাজ করা যায়, এ যাবৎ যে চরিত্রগুলি করেছেন, তুলনায় এই ছবির মুসকান বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। চরিত্রটি এক মাছ বিক্রেতার। চরিত্রের জন্য নিজেকে আলাদা ভাবে তৈরি করতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ঐন্দ্রিলা জানালেন, ‘‘সমাজমাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। পাশাপাশি, বাজারে গিয়ে মাছ ও সব্জি বিক্রেতাদের শরীরী ভঙ্গিমা রপ্ত করেছিলাম।’’ ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে বাজার করতে যেতেন ঐন্দ্রিলা। সেই স্মৃতিও অভিনয়ের সময় কাজে এসেছে বলে জানালেন অভিনেত্রী। ঐন্দ্রিলা নিজে শুঁটকি মাছ খান না এবং সে মাছের গন্ধও তাঁর কাছে অসহনীয়। কিন্তু বললেন, ‘‘সেই আমি কিনা মন্দারমণিতে শুঁটকির স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে শট দিয়েছি! রীতিমতো বমি পাচ্ছিল।’’ তা হলে অসাধ্যসাধন হল কী ভাবে? ঐন্দ্রিলা হেসে বললেন, ‘‘পারফিউমেও কাজ হয়নি। শেষে ইউনিটের এক জনের পরামর্শে আমলকি খেতে খেতে শট দিয়েছি।’’
ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর প্রশংসার পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্যও সমাজমাধ্যমে চোখে পড়েছে। প্রসঙ্গে উঠতেই ঐন্দ্রিলা সাফ বললেন, ‘‘যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা নেহাত হিংসের বশবর্তী হয়ে বলছেন। কারণ, তাঁরা ভেবেছিলেন যে, ছবিটা আমরা কোনও দিনই তৈরি করতে পারব না।’’ একই সঙ্গে ঐন্দ্রিলা যোগ করলেন, ‘‘আর যাঁরা প্রশংসা করছেন, তাঁরা জানেন, ছবিটা ভাল হলে ভবিষ্যতে তাঁদেরও সুবিধা হবে।’’
এক সময় সিরিয়ালের সুবাদে প্রচারের আলোয় চলে আসেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘সাত পাকে বাঁধা’ ও ‘ফাগুন বউ’-এর মতো জনপ্রিয় সিরিয়াল। বিশেষ করে ‘ফাগুন বউ’-এ অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর জুটি দর্শকের পছন্দ হয়। সিরিয়াল নিয়ে কী ভাবনা ঐন্দ্রিলার? অভিনেত্রী বললেন, ‘‘পয়সার কথা ভেবে সিরিয়ালে ফিরলাম। তার পর সময় দিতে পারব না, এমন চাই না।’’ কারণ অভিনেত্রী চান, তাঁর সিরিয়াল যেন জনপ্রিয়তা পায়। ঐন্দ্রিলার মতে, দর্শক নিয়মিত সিরিয়াল দেখেন। তাই তাঁদের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য প্রতিদিন নিজের একাগ্রতাও ধরে রাখতে হয়। এই মুহূর্তে ছবি এবং ওয়েব সিরিজ়ে ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছুক ঐন্দ্রিলা। তাই, এই মুহূর্তে সিরিয়াল থেকে নিজের ইচ্ছেয় দূরত্ব বজায় রাখছেন। কিন্তু প্রস্তাব কি আসে? ঐন্দ্রিলা হেসে বললেন, ‘‘প্রত্যেক দিন প্রস্তাব আসে। কিন্তু আমার সিদ্ধান্তকেও নির্মাতারা সমর্থন করেন বলে ভাল লাগে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy