আজ আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু মিমির জন্মদিন। সকালেই ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। শুভেচ্ছা জানিয়েছি। মিমিকে নিয়ে লিখতে গেলে সহজে শেষ হবে না। কারণ একসঙ্গে আমাদের প্রচুর সুখস্মৃতি।
ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা দু’জন প্রায় একই সঙ্গে পথচলা শুরু করি। প্রায় ১৪ বছরের পরিচিতি। একসঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয়ও করেছি। কিন্তু আজ ও যে ভাবে নিজেকে একটা স্তরে নিয়ে গিয়েছে, সেটা দেখে আমার খুব ভাল লাগে। ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম মানুষ রয়েছেন, যাঁরা স্পষ্ট কথা বলেন। সেখানে মিমি খুবই স্পষ্টবাদী। কোনও কিছু ভাল লাগলে বা খারাপ লাগলে, সেটা কিন্তু ও মুখের উপর বলতে পারে। ওর এই বিশেষ গুণটা আমার খুব প্রিয়।
আরও পড়ুন:
সহজ ভাষায় বলতে পারি, মিমি একটু নারকেলের মতো। বাইরে থেকে দেখলে কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু অন্তরে ও খুবই নরম। বাইরের ওই কঠিন স্তরটা আসলে ওকে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে এবং বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত নেতিবাচক বৃত্ত থেকেও ও নিজেকে সচেতন ভাবে দূরে রাখে। তাই ওকে কে ভুল বুঝল, তা নিয়েও ওর বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। মিমিকে আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি, তাদের কাছে ও কিন্তু একই রকম।

অন্য মেজাজে অঙ্কুশ এবং মিমি। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
মিমির সঙ্গে আমি আবার কবে ছবি করব, তা নিয়ে সব সময়েই অনুরাগীদের তরফে প্রশ্ন আসতে থাকে সমাজমাধ্যমে। তবে এই লেখার মাধ্যমে তাঁদেরও একটা বিষয় জানিয়ে রাখতে চাই। আজকে মিমি যেখানে রয়েছে, সেখানে শুধুমাত্র ছবি করার জন্যই ওকে কাস্ট করলে, সেটা ঠিক হবে না। এমন একটা গল্প এবং চরিত্র চাই, যেখানে আমাদের দু’জনকে মানাবে। সেই ভাবে কোনও প্রযোজক এগিয়ে এলে নিশ্চয়ই আমরা আবার একসঙ্গে ছবি করব। আমি তো ওর সঙ্গে ছবি করার জন্য মুখিয়েই থাকি। তবে পাশাপাশি এটাও ঠিক, আমি ‘মির্জ়া’ প্রযোজনা করেছি। তাই শেষ পর্যন্ত কোনও সুযোগ না এলে এ রকমও হতে পারে, আমি নিজেই হয়তো ওকে কোনও চরিত্রের প্রস্তাব দিলাম। দেখা যাক। সবটাই সময়ের উপর নির্ভর করছে।
আর বিশেষ কিছু লেখার নেই। মিমি, তোকে জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আরও ভাল ভাল কাজ কর। পরবর্তী ছবির জন্যেও আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম। হয়তো আজ রাত্রেই আমাদের দেখা হবে। তখন চুটিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে।
(সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে অনুলিখিত।)