(বাঁ দিকে) পরীমণি, শরিফুল রাজ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পরীমণি এবং শরিফুল রাজের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক জারি। রাজকে ডিভোর্সের কারণ হিসাবে পাঁচটি বিষয় তুলে ধরেছেন নায়িকা। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী সেই পাঁচ কারণ হল—
১। দু’জনের মধ্যে একদমই মিল হচ্ছিল না। মনের অমিল ছিল।
২। কারণ হিসাবে নায়িকার দাবি, রাজ কোনও খোঁজখবরই রাখতেন না তাঁদের।
৩। এ ছাড়াও ডিভোর্সের কারণ হিসাবে পরী দেখিয়েছেন, কোনও বনিবনা ছিল না।
৪। মানসিক অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল।
৫। অন্য নারীদের প্রতি রাজের আসক্তি ছিল।
দফায় দফায় পরীমণির একাধিক বক্তব্য উঠে এসেছে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে। কিন্তু এত দিন চুপ ছিলেন শরিফুল রাজ। অবশেষে শুক্রবার মুখ খুললেন অভিনেতা। পরীমণির আনা অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ। এককথায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি এই ঘটনায় বেশ বিরক্ত।
তাঁদের দাম্পত্য চর্চার মাঝেই বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাজ। সেই সাক্ষাৎাকারে তিনি বলেন, “আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে ভাল কথা, কিন্তু আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার না করলে ভাল হয়। কারণ, আমারও একটা পরিবার আছে। সেখানে মা–বাবা, আত্মীয়স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশী সবাই আছেন। একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি বিয়ের পর পরী বা বাবুকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবিনি।”
এইটুকুতেই থামেননি রাজ। তিনি আরও যোগ করেন। শরিফুল বলেন, “একটা বছর আমি আমার কাজ থেকে দূরে ছিলাম। আশপাশের কারও ফোন ধরিনি। কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করিনি। যতটুকু পেরেছি স্ত্রী ও সন্তানের যত্ন করার চেষ্টা করেছি। আমায় নিয়ে পরীর এ ধরনের মিথ্যাচার করার সুযোগ নেই। আমি এমন কিছু করিনি, যার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে। আমাকে বার বার হেনস্থা হতে হয়েছে। এ সব নিয়ে আর বলতেও চাই না। তবে এখন পরী যেটা চাইছে, সেটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। এর বাইরে অন্য অভিযোগ এলে সেটাকে আমি প্রশ্রয় দিতে চাই না।”
উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর পরী-রাজের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে তখন সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না রাজের। অভিনেতা এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘খবরটি সাংবাদিকদের থেকেই প্রথম জানলাম। আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।” এ বার তারকা দম্পতির সম্পর্কের জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy