শাকিব খানের বিরুদ্ধে উঠল একগুচ্ছ অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশি অভিনেতা শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করলেন তাঁর প্রযোজক। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামের একটি সিনেমা শুটিং করছিলেন নায়ক। সেখানেই নাকি সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এই কারণে নাকি তাঁকে গ্রেফতারও করেন পুলিশ।
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং হয়েছিল শাকিব অভিনীত এই ছবির। এই বিষয়ে প্রযোজক রহমতের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ছবির প্রযোজক, পরিচালক শিল্পী সমিতি এবং ক্যামেরাম্যান সমিতির সদস্যরা। ছ’বছর পরে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার নিবাসী সেই প্রযোজক নায়কের বিরদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই অভিযোগপত্রে প্রযোজক বলেন, “২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির শুটিং চলাকালীন অসদাচরণ করেন শাকিব। মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ জানাচ্ছি।”
ছ’বছর আগে এই ছবির শুটিংয়ের সময় যে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁদের সেই তালিকাও জমা দেন ছবির প্রযোজক।
অভিযোগপত্রে কী লিখেছেন রহমত?
১. আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়ার পর আচমকাই শুটিং বাতিল করে দিতেন শাকিব।
২. বিভিন্ন সময় এমন কিছু কিছু খাবার চেয়ে বসতেন যা জোগাড় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ত। ফলে শুটিংয়ের সবাই তাঁর খাবার আনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ত। তাতে প্রচুর টাকাও ব্যয় হয়েছিল আমাদের।
৩. নিজের ইচ্ছামতো শুটিংয়ে আসতেন। আমরা সারা দিন অপেক্ষা করে থাকতাম। প্রচুর টাকা খরচ করে তৈরি করা সেটে বসে থাকতে হত ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
৪. নিয়মিত যৌনপল্লিতে যেতেন তিনি। আর তা না হলে অস্ট্রেলিয়ার হোটেলে যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হত। এটা ছিল প্রতি দিনের অভ্যাস। অনেক সময় সেই যৌনকর্মীদের পারিশ্রমিক আমাদেরই দিতে হত। শাকিবের এই অভ্যাসের জন্যও আমাদের প্রচুর টাকা ব্যয় হয়েছে।
৫. তাঁর এই অভ্যাসের শিকার আমার এক সহ-প্রযোজকও। কৌশলে আমার এক মহিলা সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী আমি। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে পরিবার থেকেও দূরে সরে যায় সেই মহিলা। আমার সেই মহিলা সহকর্মীকে নিয়ে যখন হাসপাতালে টানাপড়েন চলছে, তখন চুপিসারে অস্ট্রেলিয়া থেকে পালিয়ে আসেন শাকিব।
অভিযোগপত্রে রহমত আরও লেখেন, এর পর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পরবর্তী কালে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।
রহমতের আনা এই অভিযোগ প্রসঙ্গে শাকিব এখনও পর্যন্ত যদিও মুখ খোলেননি। আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটির শুটিং এখনও শেষ হয়নি। কারণ হিসাবে শাকিবের অসহযোগিতাই অভিযোগে উল্লেখ করেছেন সিনেমাটির প্রযোজক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy