Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Ankush Hazra

অঙ্কুশের সহকারী ‘বাপ্পাদা’র মৃত্যু তদন্তে গ্রেফতার ১, প্রকাশ্যে হুমকির মেসেজ

পিন্টু দে-র কাছে নিজেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে পরিচয় দিতেন আয়ুব খান।

অঙ্কুশের সঙ্গে পিন্টু দে (বাঁ), অভিযুক্ত আয়ুব খান (ডান)।

অঙ্কুশের সঙ্গে পিন্টু দে (বাঁ), অভিযুক্ত আয়ুব খান (ডান)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২১ ১৯:২৩
Share: Save:

অঙ্কুশের সহকারী পিন্টু দে-র মৃত্যু তদন্তে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ক্রমাগত হুমকির জেরেই আত্মঘাতী পিন্টু দে। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার সেলের কর্মীরা মোবাইল ফোন ঘেঁটে তথ্য জোগাড় করে এই ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছেন।

রাজস্থানের ভরতপুর থেকে গ্রেফতার হল অভিযুক্ত আয়ুব খানকে। প্রকাশ পেল কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। ‘টাকা না দিলে নেটমাধ্যমে ভিডিয়ো ফাঁস’ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সহকারীকে। এমনকি, নিজেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে পরিচয় দিতেন আয়ুব খান। তাঁর নাম করেই হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেল পুলিশ সূত্রে। মূলত হোয়াটসঅ্যাপ কল করা হত পিন্টু দে-কে।

১১ মার্চ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সে রাজ্যে। সে দিনই ভরতপুর আদালতে হাজির করা হয়েছিল তাঁকে। বিচারক ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ধৃতকে কলকাতায় এনে আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে গোয়েন্দা বিভাগ।

১০ দিন আগে ৩৪ বছরের পিন্টু দে-র ঝুলন্ত দেহ মেলে তাঁর নিজের বাড়িতেই। ২ মার্চ রাতে কাঁকুড়গাছিতে ঘটনাটি ঘটেছে। পরের দিন সকালে মৃতদেহ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। পরিবার অভিযোগ জানিয়েছিল, টাকা আদায়ের জন্য পিন্টুর কাছে নিয়মিত হুমকি বার্তা আসত। দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা দেখতেই তদন্তে নামে গোয়েন্দা বিভাগ। তখনই পুলিশ জানিয়েছিল, দেড় মাস ধরে ভাগে ভাগে মোট ৩০ হাজার টাকা পিন্টু দে-র অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে। এবং তথ্য বলছে, কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয়েছে সে টাকা। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দান ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করা হয়।

অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছিলেন, চাপা স্বভাবের মানুষ ছিলেন পিন্টু দে। অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা সেনের পরিবারের লোকের মতোই ছিলেন তাঁদের ‘বাপ্পাদা’। অঙ্কুশের সূত্রেই জানা যায়, ধার শোধ করার জন্য কয়েক বার টাকা চেয়েছিলেন পিন্টু। অঙ্কুশ কোনও দিন কিছু জিজ্ঞেস না করেই টাকা দিয়ে দিতেন। অস্বাভাবিক কিছুই টের পাননি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE