এখন ভরা মাস। আর কিছু দিনের মধ্যেই পৃথিবীর আলো দেখবে আলিয়া ভট্ট এবং রণবীর কপূরের প্রথম সন্তান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের শুরুর মধ্যে যে কোনও সময়ে প্রসববেদনা উঠতে পারে আলিয়ার। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়েরই এক হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হবে নবজাতক।
সব মিলিয়ে কপূর পরিবারে এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। নবজাতকের জন্য নার্সারি গোছানো থেকে শুরু করে বাড়ি সাজানো— সবই প্রায় শেষ। পরিধি বাড়াচ্ছে আলিয়ার নিজস্ব পোশাক সংস্থা ‘এড-আ-মাম্মা’। অবসর যাপনের পাশাপাশি ব্যবসা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন ‘গঙ্গুবাঈ’। নিজে যেমন মা হচ্ছেন, তাঁর চিন্তা বাড়ছে দেশের সমস্ত হবু মা এবং সন্তানদের জন্য। উপযুক্ত আরামদায়ক পোশাক পৌঁছে দিতে চাইছেন তাঁদের কাছে, কম খরচে। নিজেও আনিয়ে রেখেছেন সদ্যোজাতর আরামের যাবতীয় উপকরণ। এখন কেবল তাকে দু’হাতে স্পর্শ করার অপেক্ষা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের গিরগ্রামের এইচ এন রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেবেন আলিয়া। এখনও অবধি পরিকল্পনা সেই রকমই। আপাতত রণবীর আর আলিয়া কাছাকাছিই রয়েছেন। কোনও কাজের চুক্তিতে যাননি। শোনা গিয়েছে, মা হওয়ার এক বছর পর ফের কাজে ফিরবেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:
চলতি বছর জুন মাসে সন্তান আগমনের কথা ঘোষণা করেছিলেন তারকা দম্পতি। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-র সেটে প্রেম। তার পর বিয়ে সেরেছিলেন। অনেকের সন্দেহ, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন আলিয়া। তাই সাত তাড়াতাড়ি বিয়ে। তবে এ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন আলিয়ার দিদি শাহীন। শাহীন বলেন, “আমি আলিয়ার হয়ে কোনও কথা বলব না। কারণ এটা ওর জীবন। ব্যক্তিগত জীবনে যা কিছু হয়ে থাক, সেটা পুরোপুরি ওর সফর। শুধু এটাই বলব যে, সবার মন রেখে চলা যায় না। সেটা কারও দায় হতে পারে না। সব সময়ই নেতিবাচক মন্তব্য আসতে থাকবে। লোকসমাজে বাস করতে হলে আমাদের শিখতে হয়, কোনটা কানে তুলব আর কোনটা অন্য কান দিয়ে বার করে দেব।”
শাহীন আরও বলেন,“আমাদের পরিবারের জন্য এটা একটা দুর্দান্ত বছর। সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে!”