হাসপাতালে ভর্তি হলেন আলিয়া ভট্ট। ফাইল-চিত্র।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় আলিয়া ভট্টকে হাসপাতালে নিয়ে ছুটলেন কপূর পরিবার। চিকিৎসকদের অনুমান, অভিনেত্রী সন্তানের জন্ম দিতে পারেন এ দিনই।
২০২২ সালের নভেম্বর মাস আলিয়া ভট্টের জীবনে বড়সড় বদল আনতে চলেছে। চিকিৎসকদের হিসাব মতো ২৮ নভেম্বর জন্মদিনের আগেই প্রথম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন অভিনেত্রী। এত দিনের যুদ্ধকালীন তৎপরতা শেষ হতে চলেছে কপূর পরিবারে। রবিবার ৬ নভেম্বর পৃথিবীর আলো দেখতে পারে নবজাতক। আলিয়ার স্বাস্থ্যই এখন পাখির চোখ। তিনি যাতে সুস্থ ভাবে, নির্বিঘ্নে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন তার জন্য সব ব্যবস্থা করে ফেলেছেন কপূররা।
মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন আলিয়াও। গর্ভাবস্থার তৃতীয় পর্যায়ে তাঁর জেল্লা যেন ফেটে পড়ছে! সেই দেখে উচ্ছ্বসিত দিদি শাহীনও। মাসি হওয়ার আনন্দে আর তর সইছে না তাঁর। ভেবে রেখেছেন, এ বছর বোনের ৩০তম জন্মদিনে ধুমধাম হবে আলাদাই!
ইতিমধ্যে মুম্বইয়ের এইচ এন রিল্যায়ান্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে সমস্ত জোগাড়যন্ত্র সারা। সেখানেই রবিবার সন্তান প্রসব করতে পারেন আলিয়া। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, অন্তঃসত্ত্বা আলিয়া বিশেষ ভাবে শরীরের যত্ন করেছেন।বিশ্রাম নিয়েছেন ঠিকই। সেই সঙ্গে সকালে উঠে নিয়মিত যোগব্যায়াম, শরীরচর্চাও জারি রেখেছেন। যাতে সন্তান প্রসব মসৃণ ভাবে হয়। জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তানের জন্ম দিতে চান নায়িকা। ছুরি-কাঁচির ঝঞ্ঝাটে যেতে চাইছেন না। অনেকেই বলেন, সিজারিয়ান ডেলিভারি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে শরীরে। তাই নরম্যাল ডেলিভারি চান আলিয়া।
বলিউডের অনেক তারকাই সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে নরম্যাল ডেলিভারির পথে হেঁটেছেন। তার একটা বড় কারণ, সন্তান জন্ম দেওয়ার গোটা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে চেয়েছেন তাঁরা। মা হওয়ার ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টার প্রসববেদনা অনুভব করা জরুরি বলে মনে করেছিলেন ৩৮ বছরে মা হওয়া ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy