ঋদ্ধি ও ঋতব্রত। ছবি-সংগৃহীত।
বন্ধুদের জন্মদিন সব সময়েই খুব আনন্দের হয়। কারণ, এই জন্মদিন হল সকলে একসঙ্গে মিলে খাওয়াদাওয়া করা ও আড্ডা দেওয়ার একটা অজুহাত। ঋদ্ধি কোনও তারিখ মনে রাখতে পারে না। মনে হয়, নিজের জন্মদিন ছাড়া আর কারও জন্মদিনও মনে থাকে না ওর। তাই জন্মদিন পালনের ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা কখনও সুরঙ্গনা করে। কখনও আমরা বন্ধুরা মিলে করি।
এ রকমই একটা জন্মদিনের কথা আমার মনে পড়ছে। খুব মজার কেটেছিল জন্মদিনের আগের দিনটা। খুব সম্ভবত ১৭ বা ১৮ মে ছিল দিনটা। ২০১৮-য় ঋদ্ধি জানত না যে, আমরা ওকে সারপ্রাইজ় দিতে চলেছি। কলকাতারই একটি ক্যাফেতে কেক আনি ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করি। আমি, সুরঙ্গনা, রাজর্ষি আর ঋদ্ধির স্কুলের কয়েক জন বন্ধু ছিলাম। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। সুরঙ্গনা কিছু একটা বুঝিয়ে ঋদ্ধিকে ওই ক্যাফেতে নিয়ে আসে। ও সত্যিই অবাক আর খুশি হয়েছিল। কারণ, ওর নিজের জন্মদিনের কথা খেয়াল ছিল না।
আবার এমনও হয়েছে, ঋদ্ধির জন্মদিনে আমরা সারা রাত ওর বাড়িতে থেকেছি। গল্প করেছি। গানবাজনা করেছি। খুব আনন্দে কেটেছে। ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এর পর থেকেই আমরা যে যেমন কাজেই থাকি, যখন একসঙ্গে হই, অনেক গল্প করি, জমজমাট আড্ডা দিই। এটা এখনও আমাদের সকলের মধ্যেই আছে। একটা ছবি আমাদের এত কাছাকাছি এনেছে, এতটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে, এটা সত্যিই খুব আনন্দ দেয়।
ঋদ্ধির জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা। অনেক ভালবাসা। বছরটা ভাল কাটুক। ওর কাজ আমাদের শেখায়, প্রেরণা দেয়। ওর কাজ দেখে এই প্রজন্মের আর এক জন অভিনেতা হিসেবে শিখি। প্রচুর শিক্ষা, মেধা, চর্চা, একাগ্রতা এবং অনুশীলন... ওর এই বিষয়গুলি আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আগামী দিনে নিজের কাজগুলো আরও ভাল করে করার প্রেরণা জোগায়। ওকেও আমি এই কথাগুলো বলেছি। বন্ধুত্ব ও সম্মানের জায়গা থেকে সমবয়সি একজনের থেকে যে এতটা শিখতে পারি, তা আমার কাছে ভাগ্যের ব্যাপার। এমন বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ণ থাক। আমাদের মধ্যে যে কোনও অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা ঢুকে পড়েনি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। বরং আমাদের মধ্যে শিক্ষার লেনদেনের জায়গা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy