মিঠুন চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
গত বছর বড়দিনে মুক্তি পেয়েছিল দেব-মিঠুনের ‘প্রজাপতি’। ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টারের মধ্যে অন্যতম ছিল সে ছবি। এ বছর বড়দিনেও আসছেন দু’জনে। তবে দু’টি ভিন্ন ছবি নিয়ে। দেবের ‘প্রধান’ এবং মিঠুনের ‘কাবুলিওয়ালা’। তবে বক্স অফিসের রেষারেষি দূরে রেখেই এগোতে চান দু’জনে। ছবিমুক্তির আগে আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি সুমন ঘোষের ‘কাবুলিওয়ালা’ মিঠুন চক্রবর্তী।
প্রশ্ন: ‘প্রজাপতি’র সময় আপনি বলেছিলেন, চিত্রনাট্যে কোনও চমক না থাকলে আপনি এখন আর রাজি হন না…।
মিঠুন: ৪০০টা ছবি করা হয়ে গিয়েছে। গল্পে একটু কাতুকুতু না থাকলে এখন আর অভিনয় করতে ভাল লাগে না। একঘেয়েমি চলে এসেছে। তবে শেষ যে ক’টা ছবি করেছি সব আলাদা স্বাদের। ‘কাশ্মীর ফাইল্স’, ‘দ্য তাসকেন্ট ফাইল্স’, ‘রিওয়াজ়’, ‘বেহিসাব’, ‘প্রজাপতি’— সবই আলাদা।
প্রশ্ন: কিন্তু ‘কাবুলিওয়ালা’ তো সে অর্থে আলাদা নয়। বাঙালির খুব চেনা গল্প। তা হলে রাজি হলেন কেন?
মিঠুন: ৩০-এর বেশি যাঁদের বয়স, তাঁরা হয়তো সকলেই পড়েছেন। কিন্তু ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে যাঁরা, তাঁদের নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। জানি না কত জন পড়েছেন। আমি তাঁদের অনুরোধ করব এক বার দেখার। কারণ, এটা এমন একটা গল্প, যেখানে ধর্ম নির্বিশেষে আবেগ রয়েছে। সুমনকে (ঘোষ, পরিচালক) আমার কুর্নিশ যে, এই সময় দাঁড়িয়ে ও এই গল্পটা ভেবেছে। আমি মনে করি, সত্যিকারের অনুভূতির কাছে কোনও জাতি-ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
প্রশ্ন: কমবয়সিদের কথা মাথায় রেখে ছবিটা করছেন। কিন্তু তাঁদের কাছে কি রবীন্দ্রনাথ এখন সত্যিই প্রাসঙ্গিক?
মিঠুন: আমার তো মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ চিরকাল প্রত্যেকের কাছে প্রাসঙ্গিক। কারণ, রবীন্দ্রনাথ ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ করতে শেখান না। আমিও সে মতাদর্শেই বিশ্বাস করি। তবে কে কতটা মনোযোগ দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে গ্রহণ করবেন, তা তর্কসাপেক্ষ। বাবা-মায়েদের আগামী প্রজন্মকে শেখানো উচিত। আমি যেমন আমার ছেলেমেয়েদের শেখাই।
প্রশ্ন: আপনাদের বাড়িতে রবীন্দ্রচর্চা হয়?
মিঠুন: অবশ্যই। শুধু আমার ছেলেমেয়ে কেন, বাঙালি ঘরে সব বাচ্চাকেই এখনও শেখানো হয়। কিন্তু কে কতটা পড়াশোনা করে কবিগুরুর শিক্ষা নেয়, জানি না। নতুন প্রজন্মের কাছে সময় কোথায়! সকালে ফোন হাতে নিয়ে ঘুম থেকে উঠছে! রাতে ঘুমোনোর সময়ও তাই। কী যে এত দেখে, কতটা বোঝে, জানি না। জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে আমার কাছে সমাজমাধ্যম শুধুই ট্র্যাশ। কারণ, যা থেকে আমার জ্ঞান বাড়বে না, আমার কাছে তার কোনও মূল্য নেই। জ্ঞান না থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব নয়।
প্রশ্ন: ‘কাবুলিওয়ালা’-এ রহমত যে মানুষদের প্রতিনিধি, বর্তমানে ভারতীয়দের যে ভারতের স্বপ্ন দেখানো হয়, সেখানে কি সেই শ্রেণির মানুষরা ব্রাত্য?
মিঠুন: এটাই সুমনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। পরিচালক এমন একটা গল্প বলছে, যা দেখে বর্তমান সময় একদমই হয়তো অসম্ভব মনে হতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, সেটা সম্ভব। ভালবাসা সত্যি হলে দুটো ধর্মের যে সব বাধা ভেঙে যেতে পারে, ‘কাবুলিওয়ালা’ তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। আজকের দিনে সবচেয়ে বড় সত্য হবে ‘কাবুলিওয়ালা’। তাই আমার জন্য দেখার দরকার নেই। কিন্তু নিজে সচেতন হওয়ার জন্য ছবিটা দেখা খুব প্রয়োজন। কারণ, এই ছবিটা এই সময়ে খুব প্রাসঙ্গিক।
প্রশ্ন: এখন তো সব রাজ্যেই বহিরাগত নিয়ে নানা রকম আলোচনা হয়। সেখানে আফগানিস্তান থেকে আসা এক জন ব্যবসায়ীকে মানুষ বাস্তবে মেনে নেবেন বলে আপনার মনে হয়?
মিঠুন: (হাসি) এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। যেখানে স্বার্থ জড়িয়ে থাকে, সেখানে এই ধরনের আলোচনা হবেই। যে দিন স্বার্থ ফুরিয়ে যাবে, তখন এই ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্নগুলো তোলা সম্ভব। বাইরে থেকে কেউ এসে যদি আপনাকে এক কোটি টাকা দেয়, আপনি ঠিক গলা জড়িয়ে আত্মীয়তা তৈরি করবেন। এক বছর নিজের বাড়িতে রেখে খাইয়েদাইয়ে সেই আত্মীয়তা পালন করবেন। কিন্তু কোনও স্বার্থ না থাকলেই সে ‘বহিরাগত’ হয়ে যাবে, তাই না?
প্রশ্ন: সুমন ঘোষের সঙ্গে আপনি আগেও ‘নোবেল চোর’ ছবিটা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আপনার যোগটা ওঁর হাত ধরে বরাবরই?
মিঠুন: সুমনের রবীন্দ্রযোগ খুব বেশি। কারণ, ও ঝুঁকি নিতে জানে। নোবেল চুরি হয়েছিল। কিন্তু ক’জন তা নিয়ে ছবি করার কথা ভেবেছে! কিন্তু ও সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খুব বিশ্বাসযোগ্য ভাবে কাজটা করতে পেরেছিল। গত পাঁচ বছর ধরে ও ভাবছিল, কী করে দাদাকে বলি যে তোমায় ছাড়া ‘কাবুলিওয়ালা’ করব না। এই সব ভেবে দেড় বছর আগে ও সাহস করে মুম্বই এসে আমায় এক দিন বলল, ‘দাদা একটা কথা বলে চলে যাব’। আমি তখন ‘হুনারবাজ়’-এর শুটিং করছি। ওর প্রস্তাব শুনে আমি বললাম, ‘তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস! দু’-দু’জন মহারথী (বলরাজ সাহনি এবং ছবি বিশ্বাস) যে চরিত্র করেছেন, আমি তা করব! সরি, তুই চলে যা। পরে কথা হবে’। তার পর ও হতাশ হয়ে চলে গেল (হাসি)। আবার ফোন করে এক দিন বলল, ‘তুমি কোথায়? আমি একটা অন্য বিষয় ভেবেছি’। সব মিথ্যা কথা! সেই ঘুরেফিরে ও বার বার ‘কাবুলিওয়ালা’র কথাই বলে। এই সব কথা হতে হতে আমি জানতে চাইলাম, প্রযোজক কে। কারণ, সাহসী প্রযোজক না হলে এই ছবি হবে না।
প্রশ্ন: আপনি সব ছবির ক্ষেত্রে আগে প্রযোজক দেখে নেন?
মিঠুন: না, তেমন নয়। এ ক্ষেত্রে দেখেছিলাম। কারণ, ১৯৬৫ সালে এমন ছবি করার সাহস প্রযোজকেরা সহজেই দেখাতে পারতেন। এখন বাংলা সিনেমার সেই সাহস কম। কোনও ছবির উপর প্রযোজকের আস্থা না থাকলে সেই ছবি করে লাভ কী!
প্রশ্ন: বাঙালির কাছে ‘কাবুলিওয়ালা’ বলতেই এখনও ছবি বিশ্বাসের মুখ ভেসে ওঠে। এমন একটি চরিত্রের প্রস্তুতি নিলেন কী করে?
মিঠুন: আমার জীবনে যে ক’টা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র আমি করেছি, বাস্তবে কাউকে না কাউকে পেয়ে গিয়েছিলাম যাকে দেখে আমি অনুপ্রাণিত হতে পারি। বার বার আমার সঙ্গে এমন হয়েছে। কোথাও না কোথাও আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং পর্যবেক্ষণ কাজে লেগে গিয়েছে। আমার এক রুমমেট ছিল যে এক দিন খুব রেগে গিয়ে আমায় গালাগালি করেছিল। ‘অগ্নিপথ’-এ আমি ওর কথা বলার ধরন অনুকরণ করেছিলাম। যদি ‘দ্য তাসকেন্ট ফাইল্স’ ভাল করে দেখেন, তা হলেই বুঝতে পারবেন, কাকে অনুকরণ করেছি। খুব বড় নেতা, কিন্তু তাঁর নাম নিলে এখন কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে (হাসি)! তেমনই ‘ওহ্! মাই গড’ করার সময় আমি তিন জন সদ্গুরুকে অনুকরণ করেছি। তাঁদের নাম বললে লোকে তেড়ে আসবে (হাসি)। ‘কাবুলিওয়ালা’র ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আফগানিস্তানের এক পাঠান আমার বন্ধু ছিল— জামাল। যে আমায় রান্না করা শিখিয়েছে। ওর হাঁপানির রোগ ছিল। ১৯৮৩-৮৪ সালের কথা হবে। আমি যেখানেই শুটিং করতাম, ও ঠিক ওর ছোট্ট একটা ডাব্বা নিয়ে আমার জন্য কিছু না কিছু রান্না করে নিয়ে যেত। শুটিংয়ে বলা থাকত সব জায়গায়, যাতে ওকে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। ও ‘মিঠুন’ বলতে পারত না। বলত, ‘মঠন’। ও কিন্তু আমায় বরাবর বলত, ‘আমি আল্লাহকে বলেছি, তুই এক দিন নম্বর ওয়ান হবিই’। ও সত্যিই আমার পাশে ছিল। যখন আমি এক নম্বর হতে পেরেছিলাম, তখন ও দেশে ফিরে যায়। মেয়ের বিয়ে দেয়। আমি সে সময় ওকে কিছু আর্থিক সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও কিছুতেই নেয়নি। ওর চরিত্র এতটাই দৃঢ় ছিল। যদি ও আজ বেঁচে থাকে, তা হলে এই ছবিটা আমি ওকে উৎসর্গ করতে চাই। আমি শুধু পরিচালককে ওর কথা বলার ধরনটা দেখিয়েছিলাম। সুমন বলল, ‘আমার এটাই চাই। আমার কাবুলিওয়ালা এ রকমই হবে’।
প্রশ্ন: আপনার জীবনে তা হলে সত্যিই এক জন ‘কাবুলিওয়ালা’ ছিলেন। কোনও ‘মিনি’র মতো বন্ধু রয়েছে কি?
মিঠুন: আছে এক জন। প্রদ্যোতের (সহকারী) ছেলে। এখন ওর ছয় বছর বয়স। কিন্তু আমরা বেস্ট ফ্রেন্ডস বলতে পারেন। আমরা খাবার নিয়ে একে অপরে মাঝেমাঝেই আক্রমণ করি। বেজায় চিৎকার-চেঁচামেচি লেগে থাকে! ওর নাম অগ্রদূত হালদার (সহকারীকে ডেকে প্রিয় বন্ধুর ছবি দেখালেন)। তিন-চার বছর বয়স থেকেই ও আমার বন্ধু। আমরা আবার গালাগালিও দিয়ে থাকি (হাসি)। কিন্তু ও আমায় ছাড়া থাকতে পারে না। যেখানেই থাকি, আমাদের এক বার হলেও কথা হয়। ও আবার আমায় নাম ধরে ডাকে না। ‘জন সেনা’ (ডবলিউ ডবলিউ ই তারকা) বলে ডাকে। আমি নাকি জন সেনার মতো খুব শক্তিশালী।
প্রশ্ন: ‘কাবুলিওয়ালা’ বন্ধুত্বের পাশাপাশি স্নেহেরও গল্প। স্নেহের বশে আমরা অনেক কাজ করি। কিন্তু আপনি আপনার চার সন্তানের জন্য কোনও দিন কোনও প্রযোজকের কাছে যাননি কেন?
মিঠুন: ভাগ্য আগে থেকে লিখে রাখার ধারণাটা ভুল। আমার কাছে ডেস্টিনির আর এক নাম হল স্বপ্ন। যে স্বপ্ন দেখতে জানে, সে তার ভাগ্য নিজে লিখবে। তবে স্বপ্নটা ঠিক হতে হবে। আমি যদি এখন বাড়ি বসে ভাবি, আমি চার্লস রাজার ছেলে হব, সেটা তো সম্ভব নয়। তাই ঠিক স্বপ্ন দেখতে হবে। আমি জানতাম, আমায় হিরোর মতো দেখতে নয়। তাই ভিলেন হতেই গিয়েছিলাম। কেউ যদি বলে, ‘কেন আপনি তো ‘মৃগয়া’র নায়ক’? তাকে বলব, ভাল করে ভেবে দেখতে। আমি কি সত্যিই নায়ক? ওই ছবিটা একদমই গ্ল্যামারহীন। যে ছবিতে হিরোইজ়মের কোনও ছোঁয়া নেই, আমি সেই ছবির নায়ক ছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে অন্য ভাবে তৈরি করা, গ্ল্যামারের দুনিয়ায় নিজেকে নিয়ে যাওয়া— সেটা আমার অন্য লড়াই ছিল। কিন্তু আমি বরাবরই আনকনভেনশনাল হিরো ছিলাম। সেটা আমার ডেস্টিনি। ছেলেমেয়েদের জন্য আমি কোনও দিন কোনও প্রযোজককে ফোন করিনি। আমি বলেছিলাম, নিজের লড়াই নিজে করো। যদি সঠিক স্বপ্ন দেখতে পারো, তা হলে ভাগ্যও তোমার সঙ্গ দেবে।
প্রশ্ন: আপনার সন্তানদের কোনও রকম প্রত্যাশা ছিল না?
মিঠুন: আমি কাউকে ফোন করলেও কী হবে বলুন? যদি কিছু হওয়ার না থাকে, তা হলে হাজার চেষ্টা করলেও হবে না। আমার মেয়ে বিদেশে নিজেই অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করছে। আমেরিকার দুটো জাতীয় স্তরের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছে। ওর অভিনয় দেখে আল পাচিনো পর্যন্ত জিজ্ঞেস করেছেন, ‘হু ইজ় দিস গার্ল’! ওর শো দেখতে গিয়েছিলেন। আমার মেজ ছেলেও নিজের মতো ছোট ছোট ছবি বানিয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠায়। মাত্র ১৯ বছরে ভ্যানকুভার ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ওর ছবি সেরার পুরস্কার জিতেছিল। আমি সবাইকে বলি, নিজেই নিজের কাজ করতে হবে। আমি বাবা হিসাবে পাশে থাকব। বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন, সেই জোগান দেব।
প্রশ্ন: গত বছর ‘প্রজাপতি’ দারুণ হিট হয়েছিল। এ বছরও বড়দিনে আপনার ছবি আসছে। কী মনে হয়, আবার বক্স অফিসে একই রকম জাদু করা যাবে?
মিঠুন: এ আমি বলতে পারব না। প্রযোজকেরা বুঝে নেবেন। আবার সেই ডেস্টিনির কথাই চলে আসবে।
প্রশ্ন: আপনি নিজেও তো দীর্ঘ সময় ধরে অন্য রকমের ছোট বাজেটের ছবি প্রযোজনা করেছেন। আপনারও তো নিশ্চয়ই এক ধরনের দূরদর্শিতা রয়েছে...।
মিঠুন: এই ছবির মধ্যে খুব সুন্দর একটা বার্তা রয়েছে। অনেক অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে তো মনে হয় এই ছবিও বড়সড় হিট হবে। সবার ভাল লাগা উচিত। কারণ, সত্যিকারের ভালবাসা তো ধর্ম-জাতি-ভাষার ঊর্ধ্বে।
প্রশ্ন: আপনার মতে চারদিকে ধর্মবিদ্বেষ এত বেড়ে যাচ্ছে কেন?
মিঠুন: স্বামী বিবেকানন্দ বলে গিয়েছেন, ধর্ম মানবজাতির সবচেয়ে বড় শত্রু হতে চলেছে। এর চেয়ে বেশি আমি আর কী বলব!
প্রশ্ন: সাক্ষাৎকারের আগে প্রযোজনা সংস্থার তরফে বার বার বলা হয়েছে, আপনাকে রাজনীতি নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। কেন বলুন তো? মিঠুন চক্রবর্তী কি তা হলে আর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকছেন না?
মিঠুন: রাজনীতি নিয়ে কোনও প্রশ্ন করবেন না। আমি দুটো জিনিস মেলাই না।
প্রশ্ন: এক জন শিল্পীর সঙ্গে কি তার রাজনীতি আলাদা করা যায়?
মিঠুন: আমি তো একদম আলাদা রাখতে পারি। যখন ছবি করি, রাজনীতি নিয়ে কথা বলি না। যখন রাজনীতি করি, তখন আর সিনেমা নিয়ে কথা বলি না। যখন বাড়িতে থাকি, তখন আমি শুধুই স্বামী আর বাবা। যখন অভিনয় করি, তখন আমি পরিচালক-প্রযোজকদের কথা ভাবি। যখন হোটেলে যাই, তখন শুধু হোটেলের কাজই দেখি। কোনও জিনিস মেলাই না। আমি নিজেকে সে ভাবে তৈরি করেছি। এক সময় শুধু একটাই কাজ মন দিয়ে করি।
প্রশ্ন: তা হলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কি রাজনীতি নিয়ে আবার কথা বলবেন?
মিঠুন: আলবাত! তখন শুধু রাজনীতি নিয়েই কথা বলব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy