প্রতি দিন প্রতি মুহূর্তে মা-কে মনে করেন কৌশানী। ফাইল-চিত্র।
রাত পোহালেই কালীপুজো। ২০২১ সালের ঠিক এই সময়েই তো জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষটা তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে। মা-মেয়ে একসঙ্গে লালপেড়ে সাদা বেনারসি কিনেছিলেন। পুজোর দিনে পরবেন বলে। তার পর সব আচমকাই বদলে গেল। মন ভাল নেই কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের। মা-ই ছিলেন তাঁর সব। আগের বছর কালীপুজোর দু’তিন দিন আগে মায়ের হঠাৎ চলে যাওয়া স্তব্ধ করে দেয় টলিপাড়ার নায়িকাকে। প্রতি বছর ধুমধাম করে মা কালীর পুজো করেন নায়িকা। এই প্রথম বার বাড়ির পুজো অথচ মা নেই।
আনন্দবাজার অনলাইনের ফোন যেতেই গলাটা ধরে এল নায়িকার। বললেন, “শুধু কালীপুজো নয়, প্রতি দিন প্রতি মুহূর্তে মায়ের অনুপস্থিতি অনুভব করি। গত বছর খুব শখ করে মা-মেয়ে মিলে একই রঙের বেনারসি কিনেছিলাম। সেই বেনারসি পরিয়ে মাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। আমার বেনারসিটা পরা হয়নি। এই বছর পুজোয় সেই শাড়িটাই পরব।”
মা নেই কিন্তু চারিদিকে শুধুই মায়ের চিহ্ন। তবে বাবা, বনি, মাসি, মেসোদের নিয়ে নিজেকে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন তিনি। কৌশানীর কথায়, “আমাদের তো প্রতিষ্ঠিত মায়ের মূর্তি আছে। বাবা ধনতেরসের দিন মা কালীর সোনার গয়না কিনে এনেছে। তারাপীঠ থেকে পুরোহিতরা আসবেন। যজ্ঞ হবে। গত বছর মা চলে যাওয়ায় সবটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুজো তো বন্ধ করব না। পাঁচ বছরে পা দিল আমাদের পুজো। হোমটা বেশ অনেক ক্ষণ হয়।”
পুজোর দিন কৌশানীর বাড়িতে পুরোটাই নিরামিষ। রাধাবল্লভি, পোলাও, ধোকার ডালনা, ছানার তরকারি, মিষ্টি—এলাহি খাওয়ার আয়োজনও করেছেন তিনি। মঙ্গলবার দিন অবশ্য দিওয়ালির বিশেষ পার্টিও রয়েছে। সে দিন নিজেকে অন্য ভাবে সাজাবেন নায়িকা। বিরিয়ানি, মাটনে জমবে নায়িকার দিওয়ালির রাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy