(বাঁ দিকে) কঙ্কনা সেনশর্মা এবং কৌশিক সেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কঙ্কনা সেনশর্মা। ওঁকে ঘিরে এক অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব। খুব গম্ভীর? তা-ও নয়। খুব কথা বলেন, এমনটাও নয়। কঙ্কনা নিজের মধ্যে, নিজের চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকতে ভালবাসেন। যখন ভেসে ওঠেন, তখন ওঁর অভিনয়ের জোরে চরিত্রেরা জীবন্ত হয়ে ওঠে। চারটি ছবিতে আমি ওঁর সহ-অভিনেতা। ‘কাদম্বরী’, ‘ইতি মৃণালিনী’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘সজারুর কাঁটা’। চারটিতেই সেরা। ওঁর সঙ্গে অভিনয় মানে নিজের সেরাটা দেওয়া। খুব ভাল অভিনেতা এক ফ্রেমে থাকলে যা হয়।
ভাল লাগে ওঁর বুদ্ধিদীপ্ত সৌন্দর্য। ওঁর চোখ কথা বলে, হাসে। অনেক কথা তাই না বলেও কঙ্কনা অনায়াসে বলে দেন ওঁর চোখ দিয়ে। এই প্রতিভা খুব বিরল। ঠিক ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে মেলে না।
বিরল বলেই কি কঙ্কনা কম কাজ পান? তাই কি ওঁকে ঠিকমতো ব্যবহার করা হল না? তথাকথিত নায়িকা হিসাবেই বা তাঁকে তেমন ভাবে ভাবলেন ক’জন? ব্যতিক্রম ‘ওয়েক আপ সিড’, ‘পেজ ৩’, ‘ওমকারা’ ছবিগুলো। কঙ্কনা কিন্তু এই ছবিগুলোয় প্রমাণ করেছেন, চাইলে বিনোদনধর্মী ছবিতেও তিনি সাবলীল। সবে তো ৪৪ হল। এখনও লম্বা সময় বাকি। আগামী দিনে আরও ভাল কিছু যে করবেন না, কে বলতে পারে?
আর আমি খুব কাছ থেকে ওঁকে দেখিনি। ফলে, জানি না তিনি কম কাজ পান? না কি কম কাজ করেন? তবে ওঁর মতো প্রতিভা যত বেশি কাজ করবেন ততই বিনোদন দুনিয়া সমৃদ্ধ হবে।
আমি ওঁর অভিনয়ের ভক্ত। অনুরাগী ওঁর পরিচালনার। ‘ডেথ অফ গঞ্জ’ বা ‘আজীব দস্তানস’ কিংবা ‘লাস্ট স্টোরিস ২’— কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি? পরিচালক কঙ্কনাকে সব সময় এগিয়ে রাখব।
আমি খেয়াল করেছি বুদ্ধিদীপ্ত এই অভিনেত্রী কখনও ‘অপর্ণা সেনের মেয়ে’ তকমা গায়ে নিয়ে ঘোরেন না। মায়ের ছবিতে যতটা সাবলীল, অন্য পরিচালকদের ক্ষেত্রেও তিনি তাই। অপর্ণা সেন প্রতিবাদী, সরব। সমাজে বা রাজনীতিতে যখনই অন্যায় হয় তিনি রুখে দাঁড়ান। কামদুনি থেকে আরজি কর-কাণ্ড, তিনি আছেন। পথে নেমেছেন। সেই মায়ের মেয়ে হয়েও কঙ্কনা নীরব। কিচ্ছু বলেন না। এটাও আমার ভাল লাগে।
সব সময় বলতে হবে, এমন কথা কোথায় লেখা? নীরব প্রতিবাদ ক’জন করতে পারেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy