লড়াই করে কোভিডকে হারাল সুফি।
১১ মাসের সুফি যেন সত্যিই কুট্টি ‘সুপারম্যান’! ‘বড়ে অচ্ছে লগতে হ্যায়’ ধারাবাহিকের অভিনেতা নকুল মেহতার শিশু সন্তান আক্রান্ত হয়েছিল করোনায়। তুমুল জ্বর, ছোট্ট ছোট্ট হাতে অজস্র সুচ ফোটানোর ব্যথা, মাকে ছেড়ে থাকা— সব পেরিয়েই ঘরে ফিরেছে ছোট্ট ছেলে। আপ্লুত মা জানকী। সন্তানের এমন সাহসী লড়াইয়ের কাহিনি তিনি তুলে ধরেছেন ইনস্টাগ্রামে। সঙ্গে সুপারম্যানের পোশাক পরা খুদে সুফির ছবি।
সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রথম কোভিড পজিটিভ হন নকুল। তার কয়েক দিন পরেই উপসর্গ দেখা দেয় স্ত্রী জানকীর। তখনও জানতেন না কী অপেক্ষা করে রয়েছে তাঁদের জন্য। জানকী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে এক দিনের মাথাতেই প্রবল জ্বর তাঁদের ১১ মাসের ছেলে সুফির। জলপট্টি, গা স্পঞ্জ, ঘরোয়া ওষুধপত্র কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। ১০৪ ডিগ্রি জ্বরে কাবু একরত্তিকে নিয়ে মাঝরাতেই হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা। তার পরে সোজা কোভিড-আইসিইউয়ে।
একে অত জ্বর, তাতে স্যালাইন-ইঞ্জেকশনের সূচ ফোটানো। অতটুকু শিশু নিতে পারবে তো সে সব? ভয়ে-ভাবনায় ঘুম উড়েছিল মা-বাবার। হাসপাতালে ছেলের পাশে রাত জেগে থাকা, তার খেয়াল রাখার ধকল— অসুস্থ শরীরে সবটা পেরে উঠছিলেন জানকী নিজেও। শেষমেশ ছেলের ন্যানিই হাসপাতালে থাকেন সুফির সঙ্গে। তিন দিন জ্বরে ভোগার পর একটু একটু করে সুস্থ হয়ে ওঠে খুদেও।
কিন্তু মাকে অবাক করে দিয়েছে ওইটুকু ছেলে! ইনস্টাগ্রামে জানকী লিখেছেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ মাই সুপারহিরো! তোমার সহ্যক্ষমতা, আর দুষ্টু হাসি সব ঝড়কেই তুচ্ছ করে দেয়!’
ইনস্টাগ্রামে সুফির লড়াইয়ের কাহিনি তুলে ধরে সব বাবা-মায়েদের আরও একটু সচেতন করে দিতে চেয়েছেন জানকী। বলেছেন, সন্তান থাকলে সবারই উচিত কখনও অসাবধান না হওয়া। একরত্তিরা মাস্ক পরতে পারে না, তাদের কোভিড-টিকা দেওয়ারও সুযোগ নেই। তাই তাদের ভাল রাখতে একমাত্র অস্ত্র মা-বাবার সচেতনতা।
সন্তানকে সুস্থ করে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতাল এবং সুফির ন্যানিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জানকী। স্বস্তি ফিরেছে মায়ের। আর তা ফিরিয়েছে ছোট্ট সুফির একগাল হাসি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy