(বাঁ দিকে) ভোটার গোট্টুমালা সুধাকর। বিধায়কের বিরুদ্ধে চড় মারার অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।
কেন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন না? বিধায়কের বিরুদ্ধে এই প্রশ্ন তোলায় এক ভোটারকে চড় খেতে হয়েছিল। সেই ভোটারও পাল্টা চড় কষিয়ে দেন বিধায়ককে। হায়দরাবাদের এই ঘটনায় এ বার নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই ভোটার।
ভোটার গোট্টুমালা সুধাকর বলেন, “জানি না এই ঘটনার পরবর্তী ফল কী হতে পারে! আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইছি।” ইতিমধ্যেই সেই চড় এবং পাল্টা চড়কাণ্ডে বিধায়ক এবং তাঁর সাত সঙ্গীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সুধাকর। বিষয়টি নিয়ে আবার রাজনীতিও সরগরম হয়ে উঠেছে।
সোমবার ছিল চতুর্থ দফার ভোট। নিজের কেন্দ্র তেনালিতে ভোট দিতে গিয়েছিলেন সুধাকর। ওই কেন্দ্রেই সপরিবার ভোট দিতে যান ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিধায়ক শিবকুমার। সবাই যখন দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে, সেই সময় বিধায়ক আসেন এবং সোজা ভোটকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে যান। তখন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারেরা। সবাই যখন লাইনে দাঁড়িয়ে, বিধায়ক কী ভাবে সেই লাইন উপেক্ষা করে ভোট দিলেন? ভোট দিয়ে বার হতেই বিধায়ককে এই প্রশ্ন করেছিলেন সুধাকর। তাঁর দাবি, “আমি যখন এই প্রশ্ন করেছিলাম, বিধায়ক আমাকে শাসিয়ে বলেন, এই প্রশ্ন করার তুমি কে? তার পরই আমাকে চড় মারেন।”
তাঁকে চড় মারায় পাল্টা তিনি চড় মারেন বিধায়ককে। এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়। সুধাকরের দাবি, এর পরই পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন, ভোট না দিয়ে যাবেন না। ভোট দেওয়ার পর তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিধায়ক এবং তাঁর সঙ্গীরা ছিলেন। থানাতেই তাঁকে তাঁরা বেধড়ক মারধর করেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন সুধাকর। কিন্তু এর ফলাফল যে খুব একটা ভাল হবে না, তা আঁচ করতে পারছেন সুধাকর। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে নিরাপত্তার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy