গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকল শাসকদল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, রাজ্যপাল বোস তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বিজেপির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বৃহস্পতিবার দিল্লির নির্বাচন সদনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে এই অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযোগের সমর্থনে রাজ্যপাল বোসের তিনটি ছবি কমিশনে জমা দিয়েছেন ডেরেক। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যপাল বোসের কাঁধে রয়েছে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক ‘পদ্ম’ সম্বলিত একটি উত্তরীয় (আনন্দবাজার অনলাইন ছবির সত্যতা যাচাই করেনি)। ডেরেকের দাবি, কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রামমন্দিরে একটি অনুষ্ঠানে ‘পদ্ম’ আঁটা ব্যাজ করেছিলেন রাজ্যপাল বোস।
চিঠিতে ডেরেক লিখেছেন, ‘‘১৯৯৩ সালে হিমাচল প্রদেশের তৎকালীন রাজ্যপাল গুলশের আহমেদের বিরুদ্ধে ভোটে নিজের ছেলেকে জেতাতে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। কমিশন তৎপর হওয়ায় তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন।’’ ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে রাজস্থানের তৎকালীন রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহ প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে ভোটদানের সওয়াল করায় কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা।
সেই সঙ্গে রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নাক গলানোরও অভিযোগ তোলা হয়েছে চিঠিতে। ডেরেকের দাবি, নির্বাচন কমিশন থাকা সত্ত্বেও বাংলার মানুষের স্বার্থে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি আলাদা পোর্টাল খুলেছেন বোস। নাম দিয়েছেন ‘লোগ সভা পোর্টাল’। এই সমান্তরাল অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া নির্বাচনী পদ্ধতির পরিপন্থী। বিজেপির হয়ে প্রচার এবং সংবিধানিক ক্ষমতার পরোয়া না করে লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রচার চালানো এবং বাংলায় একটি নিজস্ব নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার অভিযোগে বোসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, বুধবার তৃণমূলের তারকা প্রচারক কুণাল ঘোষ রাজ্যপালের একটি ছবি পোস্ট করে প্রথম অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বুকে বিজেপির প্রতীক আঁকা ব্যাজ রয়েছে। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যপালকে বলতে হবে, এই ছবিটা অরিজিনাল (আসল) না ফেক (ভুয়ো)? যদি আসল হয়, তা হলে তা তিনি দিনক্ষণ বলুন। কবে কোথায় ওই ব্যাজটি ব্যবহার করেছেন। যদি দেখা যায়, রাজ্যপাল থাকাকালীন তিনি এই ব্যাজটি ব্যবহার করেছেন, তা হলে আমরা দাবি করছি তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত। বিজেপির ব্যাজ ধারণ করা রাজ্যপাল এক মুহূর্ত রাজভবনে থাকতে পারেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy