Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

সিএএ, অনুন্নয়ন জোড়া অস্ত্রে শান মুকুটমণির

বুধবার কৃষ্ণনগরে জেলা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুকুটমণি। তৃণমূলের এক ঝাঁক নেতা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

নদিয়ার অন্যতম মতুয়া-মুখ মুকুটমণি অধিকারী।

নদিয়ার অন্যতম মতুয়া-মুখ মুকুটমণি অধিকারী।

সম্রাট চন্দ
কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০০
Share: Save:

রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিজেপির দিকে তোপ দাগলেন নদিয়ার অন্যতম মতুয়া-মুখ মুকুটমণি অধিকারী। সেই সঙ্গে, উন্নয়নে ব্যর্থতার কথা তুলে বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।

বুধবার কৃষ্ণনগরে জেলা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুকুটমণি। তৃণমূলের এক ঝাঁক নেতা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। পরে তিনি দাবি করেন, বিজেপির নেতা-সাংসেদরা ভারতের সমস্ত মতুয়া তথা হিন্দু উদ্বাস্তুদের সঙ্গে ছেলেখেলা করেছেন। ২০০৩ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনেছিল। মুকুটের কথায়, “আমরা মতুয়ারা সেই ‘কালা কানুন’-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি দীর্ঘ ২১ বছর। নিঃশর্ত নাগরিকত্ব পাওযার আশায় হিন্দু উদ্বাস্ত মতুয়ারা পাঁচ বার বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।”

মুকুটের দাবি, “হিন্দু উদ্বাস্তুরা বিজেপিকে এত বছর ধরে শুধু দিয়ে গিয়েছে। এখন নিঃশর্ত নাগরিকত্বের বদলে সিএএ দিয়ে নাগরিকত্ব কেড়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানোর চক্রান্ত হচ্ছে।” মতুয়ারা কেউই সিএএ সমর্থন করছেন না বলেও তিনি দাবি করেন। তবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার আগে তিনি যে সংগঠনের জেলা সভাপতি ছিলেন, সেই বিজেপি-ঘেঁষা মতুয়া সংগঠনে তাঁর স্থলাভিষিক্ত সুশীল বসু পাল্টা দাবি করেন, "মতুয়ারা কেউই মুকুটের সঙ্গে নেই। তাঁরা সবাই নাগরিকত্ব আইন সমর্থন করছেন।"

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নিজের পুরনো দলকে নিশানা করার পাশাপাশি বিদায়ী সাংসদকে নিশানা করেছেন মুকুট। তাঁর মতে, দল সরকারে থাকা সত্ত্বেও জগন্নাথ চূর্ণী নদী সংস্কারের কাজ করতে পারেননি। মুকুটের দাবি, “৪২ কোটি টাকার কাগজ দেখিয়েছিলেন। কোনও কাজ হয়নি। তাঁতশিল্পীদের জন্য কাজ করবেন বলেছিলেন। কিছু হয়নি।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁত এবং অন্যান্য শিল্পের জন্য প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকার বিনিয়োগ এনেছেন দাবি করেন ফের জগন্নাথকে নিশানা করেন মুকুট। তাঁর মতে, “সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এবং জ়িরো পয়েন্টে থাকা মানুষজনের কথা বলেননি। গঙ্গার ভাঙন নিয়ে কোনও কাজ করেনি। বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বরং ভাঙন রোধে উদ্যোগী হয়েছেন।”

ঘটনাচক্রে, জগন্নাথের বাডড়ি তাঁত-তল্লাট ফুলিয়ার কাছেই। তাঁর দাবি, "তাঁতশিল্প এবং গঙ্গা ভাঙন নিয়ে নির্দিষ্ট প্রকল্প পাঠিয়েছি। কিন্তু রাজ্য সরকারের যে সহযোগিতা দরকার ছিল, তা পাওয়া যায়নি। তাঁতশিল্প নিয়ে আইটি হাব তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছি, সেটা হয়তো তৃণমূল প্রার্থীর জানা নেই।"

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 Mukutmani Adhikari
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy