—প্রতীকী চিত্র।
আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল। ভাগ্য নিধার্রিত হতে চলেছে শাসক দল থেকে বিরোধীদের। মাঝে মাত্র তিন দিন। ভোটের ফল ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসছে ততই কপালে ভাঁজ চওড়া হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী, নেতা ও কর্মীদের।
জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র এবার কার দখলে থাকবে,শেষ মুহূর্তে তার হিসাব কষতে শুরু করেছে সব দলই। তবে রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি কোন কেন্দ্র কার দখলে যাবে তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের একাংশ আবার নিজেদের মধ্যে বাজি ধরতে শুরু করেছেন।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। ওই সময় তৃণমূল প্রার্থী রূপালি বিশ্বাসকে প্রায় ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন তিনি। সেই বছরেই প্রথমবারের জন্য রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে আসে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, গত পাঁচ বছরে ভাগীরথী, চূর্ণী দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। এই কেন্দ্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও সংযোজন, বিয়োজন হয়েছে অনেক বিষয়ে। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র বরাবরই মতুয়া বলয় বলে পরিচিত। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাতে মতুয়াদের একটা বড় অংশ বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছিল। আর তার ফলেই এই কেন্দ্রে প্রথমবারের জন্য জয় আসে বিজেপির।
অনেকেই বলছেন, এবার নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়েছে। কিন্তু যে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের কথা বলা হয়েছিল, তা আদৌ নিঃশর্ত নয় বলে দাবি করেছে তৃণমূল। সেইমত তাদের তরফে ভোটের আগে প্রচারও চালানো হয়। এছাড়া নদী ভাঙন ও সীমান্ত সমস্যা এই কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান সমস্যা। সেই সব সমস্যা কে কতটা মেটাতে পারবে তার উপরেই রানাঘাট কেন্দ্রে কোন ফুল ফুটবে তা নির্ভর করছে। যা নিয়ে চড়তে শুরু করেছে জল্পনার পারদও।
রাজনীতির চর্চাপ্রিয় ভোটারদের অনেকে আবার কোন কেন্দ্রে কোন প্রার্থী জয়ী হবেন, তা নিয়ে বাজিও ধরতে শুরু করেছেন। কারও বাজি, তৃণমূল রানাঘাট কেন্দ্রে জয়ী হলে পাঁঠার মাংসর বনভোজন। কারও বাজি আবার, বিজেপি প্রার্থী জিতলে বিনা খরচে দিঘার সমুদ্র সৈকতের ভ্রমণের পাকা বন্দোবস্ত। আবার অনেকের মতে জোট প্রার্থী জিতে গেলেও তা অবাক হওয়ার নয়। যদিও বাজির বাজারে দুই ফুলকে নিয়েই পাল্লা ভারী।
তবে এ সবের মধ্যে মাথা গলাতে রাজি নন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। তিনি বলেন, "গত পাঁচ বছরে রানাঘাট কেন্দ্রে উন্নয়ন হয়নি। এখানকার সাংসদকে মানুষ কাছে পায়নি। মতুয়াদের সঙ্গেও প্রবঞ্চনা হয়েছে। তাই এই কেন্দ্রের মানুষ এবার আমাদেরই সমর্থন জানাবে।"
বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের দাবি, "দলবদলু,বিশ্বাসঘাতক তৃণমূল প্রার্থীকে মানুষ একটিও ভোট দেয়নি দেয়নি। বিগত দিনে মানুষের সঙ্গে ছিলাম। তাই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত এই কেন্দ্রে আমরাই জয়ী হব।"
সিপিএম ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী অলকেশ দাসের কথায়, "ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল ও বিজেপি। মানুষ কাজ চায়, উন্নয়ন চায়, পেটে ভাত চায়। আর সেই নিরিখেই মানুষ আমাদের জয়ী করবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy