মঙ্গলবার রাতে কোলাঘাট গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস ।
বঙ্গ বিজেপির সেনাপতি তিনি। তবে এ বার লোকসভা ভোটে বাংলায় প্রত্যাশামতো দাগ কাটতে পারেনি পদ্ম। গোটা রাজ্যে দলের ভরাডুবির মাঝে কোনও রকমে নিজের 'গড়' আগলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে দলের বিপযর্য়ের দিনে কাঁথিতে থেকেও শুভেন্দু দিনভরই ছিলেন ঘরবন্দি। মঙ্গল সন্ধ্যায় শুধু বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার সারা দিনই কাঁথির বাড়িতে ছিলেন শুভেন্দু। দিনের শেষে সন্ধে সওয়া সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কয়েক পা দূরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তবে এ দিন সকলের নজর ছিল 'অধিকারী বাড়ির' ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীর দিকে। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের উত্তম বারিককে পরাজিত করেছেন তিনি। অধিকারী বাড়ির কর্তা শিশির অধিকারী থেকে শুরু করে শুভেন্দু বা দিব্যেন্দু অধিকারীরা সকলেই প্রথমে কাঁথির পুর প্রতিনিধি ছিলেন। তারপর বিধায়ক এবং সাংসদ হন। যদিও এক ধাপ এগিয়ে পুরপ্রধান পদ সামলানোর পরই সরাসরি প্রথমবার সংসদে পা রাখতে চলেছেন সৌমেন্দু। সৌমেন্দু বলছেন, ‘‘দল যোগ্য হিসেবে যদি একজন বুথের কার্যকর্তাকে দায়িত্ব দেয় তা মেনে নিতে হবে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’’
সৌমেন্দু এ দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গণনা কেন্দ্রে যান। প্রভাত কুমার কলেজ চত্বরে যেখানে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টরা ছিলেন, সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কোথাও সমস্যা হচ্ছে কিনা খোঁজ নেন বিজেপি প্রার্থী। এরপর বারবার দাদা শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথা বলে পরিস্থিতি জানান তিনি। শুভেন্দুও বারবার ছোট ভাইয়ের ব্যবধান সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। এক সময় সৌমেন্দু সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন, ‘‘যেহেতু কাঁথি এবং তমলুকে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছেন তার জন্য প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করছে তৃণমূল। নির্বাচনের ফলাফল নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে অনেক দেরিতে আপলোড করা হচ্ছে।’’
দিনের শেষে যখন ১৯ রাউন্ড গণনার পরে প্রায় জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তখন হাসিমুখে সৌমেন্দু বলেন, ‘‘কাঁথিবাসীর কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।’’ সন্ধ্যায় ‘শান্তি কুঞ্জ’ থেকে কয়েক পা দূরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বসে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। তিনিও ভাই সৌমেন্দু এবং তমলুকের পদ্মপ্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জয়ের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, ‘‘এই জেলাতে আমি জন্মেছি। পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ বিরোধী দলনেতার পাশে আছেন এটা আরেকবার প্রমাণিত হল।’’ তাঁর নিজের বিধানসভা নন্দীগ্রামেও বিজেপি লিড পেয়েছে। তা মনে করিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষ আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁরা তাঁদের সেবক শুভেন্দুর সঙ্গেই আছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy